২০২১ বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির (BJP) টিকিটে জয়ী বিধায়কদের মধ্যে যাঁরা তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিয়েছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে দলত্যা বিরোধী আইন কার্যকর করার কথা আগেও বলেছিল গেরুয়া শিবির ( defection )। এবার সেই দাবি নিয়েই হাইকোর্টে গেলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)।
আর ও পড়ুন বিস্ফোরক বাবুল সুপ্রিয়, বিজেপির বিরুদ্ধে কী বললেন তিনি ?
সোমবার বিকেলে দলবদলুদের বিরুদ্ধে দলত্যাগ বিরোধী আইনে মামলা করতে কলকাতা হাইকোর্টে যান তিনি। বাংলার রাজনীতিতে চলতি বছরে মাত্র কয়েক মাসের ব্যবধানে দুই উলটো স্রোত দেখা গেছে। বিধানসভা ভোটের আগে দেখা গিয়েছিল একে একে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে আসছেন নেতারা। শুভেন্দু অধিকারী নিজেও শাসকদলের হাত ছেড়ে গেরুয়া শিবিরে যোগ দেন( defection )। বড় নেতা থেকে শুরু করে তৃণমূক স্তরের কর্মী পর্যন্ত সকলের মধ্যেই দলবদলের হিড়িক দেখা গিয়েছিল ভোটের আগে। কিন্তু একুশের এই বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির ভরাডুবি হয়েছে। ২০-র বেশি আসনে জয়লাভ করে তৃতীয়বারের জন্য ক্ষমতায় এসেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল। তারপরেই দেখা গেছে উলটপুরাণ। এবার একে একে বিজেপি থেকে তৃণমূকে ফিরেছেন সকলে। প্রথমেই গেরুয়া শিবিরে ভাঙন ধরান মুকুল রায়।
তিনি তৃণমূলে ফিরলেও কৃষ্ণনগরের বিধায়কের পদ ছাড়েননি। এমনকি পিএসি চেয়ারম্যানও হয়েছেন বিজেপির বিধায়ক হিসেবেই। তখনও নন্দীগ্রামের বিধায়ক হুঁশিয়ারি দিয়ে জানিয়েছিলেন, দলত্যাগ বিরোধী আইনে পদক্ষেপ করার কথা। এরপর একে একে আরও বেশ কিছু বিজেপির টিকিটে জয়ী বিধায়ক ঘাসফুল শিবিরে যোগ দিয়েছেন। তাঁদের সকলের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করতেই এদিন হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী। আদালত থেকে বেরিয়ে শুভেন্দু বলেন, আমরা সুপ্রিম কোর্টের রায়ের ভিত্তিতে আইনের বিচার চেয়েছি মহামান্য আদালতের কাছে। দলত্যাগ বিরোধী আইন কার্যকর করতে বলেছি। গোটা দেশের সব বিধানসভায় এটা হয়, তবে পশ্চিমবঙ্গে কেন হবে না? আমরা আদালতের উপর আস্থাশীল। বিচারব্যবস্থা গণতন্ত্রের বড় স্তম্ভ।
আর ও পড়ুন বিস্ফোরক বাবুল সুপ্রিয়, বিজেপির বিরুদ্ধে কী বললেন তিনি ?
উল্লেখ্যঃ ২০২১ বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির (BJP) টিকিটে জয়ী বিধায়কদের মধ্যে যাঁরা তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিয়েছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে দলত্যা বিরোধী আইন কার্যকর করার কথা আগেও বলেছিল গেরুয়া শিবির ( defection )। এবার সেই দাবি নিয়েই হাইকোর্টে গেলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)।