দিল্লি থেকেই শুরু হতে পারে দ্বিতীয় পর্বের যাত্রা, প্রস্তুত রাহুল গান্ধী, সেপ্টেম্বরেই ফের ‘ভারত জোড়ো যাত্রা’? ২০২৪ লোকসভা নির্বাচনের আগে আর মাত্র আট মাস মতো বাকি। এরই মধ্যে ভারত জোড়ো যাত্রার দ্বিতীয় পর্বের জন্য প্রস্তুত হচ্ছেন রাহুল গান্ধী। কংগ্রেস হাইকমান্ড সূত্রে খবর, আগামী সেপ্টেম্বর মাসে শুরু হতে পারে ভারত জোড়ো যাত্রার পরের রাউন্ড। প্রাথমিকভাবে জানা যাচ্ছে, দিল্লি থেকেই শুরু হতে পারে দ্বিতীয় পর্বের যাত্রা। তবে, এই যাত্রার রোডম্যাপ এখনও নির্ধারিত হয়নি। এর আগে ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে তামিলনাড়ুর কন্যাকুমারী থেকে প্রথম পর্বের ভারত জোড়ো যাত্রা কর্মসূচি শুরু করেছিল কংগ্রেস। ৩০ জানুয়ারি কাশ্মীরে শেষ হয়েছিল এই কর্মসূচী। ১৫০ দিনে ৪,০৮০ কিলোমিটার পদযাত্রা করেছিলেন রাহুল গান্ধী এবং কংগ্রেস নেতা-কর্মীরা। দারুণ সফল হয়েছিল সেই কর্মসূচি। ভারত জোড়ো যাত্রার প্রথম পর্বের সেই সাফল্যে উৎসাহিত হয়ে, সেই সময়ই কংগ্রেস নেতারা জানিয়েছিলেন, ফের একবার ভারত জোড়ো যাত্রা হতে পারে। শোনা যাচ্ছে, কংগ্রেসের পক্ষ থেকে শিগগিরই সেই কর্মসূচি ঘোষণা করা হতে পারে।
ভারত জোড়ো যাত্রা কর্মসূচির পর, দৃষ্টতই কংগ্রেস নেতা-কর্মীদের মধ্যে নতুন উৎসাহ উদ্দীপনা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। কর্নাটকে বড় জয় পেয়েছে শতাব্দী প্রাচীন দলটি। আগামী কয়েক মাসে মধ্য প্রদেশ, ছত্তীসগঢ়, রাজস্থানের মতো গুরুত্বপূর্ণ রাজ্যে নির্বাচন রয়েছে। মধ্য প্রদেশ এবং রাজস্থানে রীতিমতো কাঁটার টক্কর হওয়ার মতো পরিস্থিতি রয়েছে। ভারত জোড়ো যাত্রার দ্বিতীয় পর্ব, এই রাজ্যগুলির নির্বাচনে কংগ্রেসকে বিশেষ সুবিধা দেবে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। এর মধ্যে তৃণমূল কংগ্রেস, সপা, এনসিপি, বামদলগুলির মতো ২৬টি দলকে নিয়ে ইন্ডিয়া জোট গঠন করেছে কংগ্রেস। কংগ্রেসের নেতৃত্বে ভারত জোড়ো যাত্রা কর্মসূচিতে ইন্ডিয়া জোটের শরিকরা অংশ নেবে কিনা, এখনও সেই বিষয়টি পরিষ্কার নয়।
আরও পড়ুন – ‘সারদাকাণ্ডে’ মমতার নাম উল্লেখ করে সিবিআইকে চিঠি শুভেন্দুর,
ভারত জোড়ো যাত্রার পিছনে কংগ্রেসের প্রাথমিক লক্ষ্য ছিল ভারতের জনগণের সঙ্গে সংযোগ স্থাপন। মানুষের উদ্বেগের বিষয়, তাঁরা কী চাইছেন, তাঁদের কী কী অসুবিধা, অভাব, অভিযোগ – তা উপলব্ধি করতে চেয়েই এই কর্মসূচি গ্রহণ করেছিল কংগ্রেস। উদয়পুরের চিন্তন শিবির থেকেই ভারত জোড়ো যাত্রা কর্মসূচির কথা ঘোষণা করা হয়েছিল। যাত্রার প্রথম পর্বে, তামিলনাড়ু, কেরল, কর্নাটক, অন্ধ্র প্রদেশ, তেলঙ্গানা, মহারাষ্ট্র, মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান, হরিয়ানা, দিল্লি, উত্তর প্রদেশ, পঞ্জাব, হিমাচল প্রদেশ এবং জম্মু ও কাশ্মীর রাজ্যে ভ্রমণ করেছিলেন রাহুল। সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষের সঙ্গে মিলিত হয়েছিলেন তিনি। তাঁদের অভাব-অভিযোগ শুনেছিলেন। শ্রীনগরে এই কর্মসূচির সমাপ্তিতে সমস্ত সমমনস্ক দলগুলির প্রধানদের আমন্ত্রণ জানিয়েছিল কংগ্রেস। বলা যেতে পারে সেটাই ছিল ইন্ডিয়া জোটের সূত্রপাত।