সাত সকালে আচমকাই সাগর দত্ত মেডিকেল কলেজে কামারহাটির বিধায়ক মদন মিত্র। রোগী মৃত্যুকে কেন্দ্র করে যে দালাল চক্রের অভিযোগ উঠেছে তা নিয়ে প্রশাসনের বিরুদ্ধে সবর হন তিনি। এদিন সকালে সাগরদত্ত মেডিকেল কলেজ (Sagar Dutta Medical College) হাসপাতালে মদন মিত্র (Madan Mitra)। হাসপাতাল চত্বরে দাঁড়িয়েই প্রশাসনের বিরুদ্ধে সরব হলেন তিনি। ক্ষোভ প্রকাশ করলেন হাসপাতালের বেহাল পরিষেবা নিয়ে।
আরও পড়ুনঃ এবার হোয়াটসঅ্যাপে যোগ দিলেন মমতা, অভিষেক
কামারহাটি পুরসভার বিভিন্ন ওয়ার্ডের কাউন্সিলরদের সঙ্গে নিয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষদের সঙ্গে কথা বলেন কামারহাটির বিধায়ক। তার আগে হাসপাতালে (Sagar Dutta Medical College) আসা রোগীদের সঙ্গে কথা বলে তাঁদের অভাব অভিযোগের কথা শোনেন। তিনি বলেন, ”অনেকেই আমার কাছে অভিযোগ করেছে হাসপাতালে এসে ঠিকমতো পরিষেবা পাচ্ছেন না। এটা কেন হবে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে রাজ্য চলছে। হাসপাতালে এসে কেন অভিযোগ থাকবে রোগীদের!”
তাঁর (Madan Mitra) কথায়, ”এই হাসপাতালে ক্যান্সার চিকিত্সার ব্যবস্থা হচ্ছে। নার্সিং ট্রেনিং কলেজ চালু হচ্ছে। সেখানে ন্যূনতম যে পরিষেবা তা নিশ্চিত করতেই হবে। হাসপাতাল প্রশাসনের কোনও গা ঢিলে মনোভাব বরদাস্ত করা হবে না।”
হাসপাতালের পরিষেবা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশের পাশাপাশি এই হাসপাতালে দালালরাজ চলছে বলেও এদিন অভিযোগ করেন বিধায়ক। দালালরা সর্বত্র দাদাগিরি করছে বলে অভিযোগ জানান তিনি। বলেন, ”দালালদের প্রভাবে দাদাগিরি চলছে। চলছে গুন্ডাগিরি। সব ঘুঁচিয়ে দেব।” রীতিমতো আঙুল উঁচিয়ে হুঁশিয়ারি দেন বিধায়ক।
উল্লেখ্য গতকাল অর্থাৎ মঙ্গলবার সদলবলে ডেপুটেশন জমা দিতে হাসপাতালে গিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু অধ্যক্ষের ঘরে ঢুকে অবাক হয়ে যান তিনি। দেখেন, অধ্যক্ষই সেখানে নেই। তিনি হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে গিয়েছেন শুনেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন মদন মিত্র। সেখানে বসেই ফোন করে অধ্যক্ষকে কার্যত ধমক দেন তিনি। হাসপাতালের অধ্যক্ষ পার্থপ্রতিম প্রধানের সঙ্গে ফোনে মদন মিত্রকে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় শোনা যায়। অধ্যক্ষকে ‘হরিদাস পাল’ বলেও কটাক্ষ করেন তিনি।
প্রসঙ্গত, রমেশ হালদার নামে এক রোগীর মৃত্যুতে দালালচক্রের অভিযোগ ওঠে সাগর দত্তে। মূল অভিযুক্ত জাবেদ আলি গ্রেফতার না হওয়ায় সরব হয়েছিলেন মদন। মদন মিত্র নিজে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। তারপরও কেউ না ধরা পড়ায় পুলিশের ভূমিকা নিয়েও সরব হন মদন। নিয়েও সরব হন মদন।