দিনমজুরি, পরিচারিকার কাজ করে যুগিয়েছিলেন স্বামীর পড়াশোনার খরচ , চাকরি পেয়েই নতুন সংসার স্বামীর ,খেয়াল রেখেছিলেন যাতে তাঁর প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সাফল্যের সোপান বিঘ্নিত না হয়। এই স্বার্থত্যাগের ‘পুরস্কার’ পেলেন স্ত্রী। প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে ট্যাক্স অফিসার হিসেবে কাজে যোগ দেওয়ার পর তাঁকেই ছেড়ে চলে গেলেন স্বামী। বিয়ে করলেন অন্য তরুণীকে। মধ্যপ্রদেশের এই ঘটনায় হতবাক নেটিজেনরা।
মমতা এবং কামরুর আলাপ ২০১৫ সালে। সে বছরই তাঁরা বিয়ে করেন। সে সময় সদ্য স্নাতক কামরু ছিলেন বেকার। প্রতিকূল পরিস্থিতি সত্ত্বেও স্বামীকে প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষা দেওয়ার জন্য উৎসাহ দেন৷ সংসারের হাল ধরার জন্য দিনরাত এক করে পরিচারিকা হিসেবে কাজ করেন মমতা৷ এছাড়াও নানা ধরনের কাজ করেছেন তিনি৷ শুধুমাত্র স্বামীর স্বপ্নপূরণের জন্য৷
২০১৯ সালে কর্মাশিয়াল ট্যাক্স অফিসারের চাকরি নেন কামরু৷ কাজে যোগ দেওয়ার পর রতলম নামে আর এক তরুণীর সঙ্গে তাঁর আলাপ হয়৷ কিছু দিন পর তাঁর সঙ্গেই থাকতে শুরু করেন৷ স্বামীর পরকীয়া নিয়ে বিন্দুবিসর্গ জানতেন না স্ত্রী মমতা৷ দু’ বছর পর স্বামীর নামে অভিযোগ দায়ের করেন তিনি৷ কিন্তু কামরু জানান তিনি প্রতি মাসে মমতাকে ১২ হাজার টাকার করে ভাতা দেবেন৷ কিন্তু তাঁর সঙ্গে থাকবেন না৷
মমতার আইনজীবীর অভিযোগ, এই ভাতা দেওয়ার প্রতিশ্রুতিও কামরু আর রাখছেন না৷ এই ঘটনার মামলা চলছে৷ প্রসঙ্গত আড়াই বছর আগে প্রথম স্বামীকে হারিয়েছেন মমতা৷ কয়েক মাস আগে মৃত্যু হয়েছে প্রথম স্বামী এবং তাঁর সন্তানেরও৷
আরও পড়ুন – মহাপ্রসাদ নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত নিল পুরীর জগন্নাথ মন্দির, দিতে হবে কত টাকা?…
মধ্যপ্রদেশেরওই ট্যাক্স অফিসার কামরু হাথিলে অনেক দিন ধরেই ব্যাঙ্কিং পরীক্ষার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। সে সময় পরিচারিকার কাজ নিয়ে সংসােরর হাল ধরেছিলেন স্ত্রী মমতা। স্ত্রীর অনুপ্রেরণা ও নিজের প্রচেষ্টায় কামরুর সফল হতে সময় লাগেনি। ট্যাক্স অফিসার হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর কোনও নির্দিষ্ট কারণ ছাড়াই স্ত্রীকে ছেড়ে বিয়ে করেন অন্য এক তরুণীকে।