ফের ওড়িশা যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা,আহত হননি এমন যাত্রীদেরও ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা ঘোষণা, দুর্ঘটনার পর তিনদিন কেটে গিয়েছে। এখনও হাসপাতালে অভিশপ্ত ট্রেনের শতাধিক যাত্রী। ওড়িশার বিভিন্ন শহরের হাসপাতালগুলিতে চিকিৎসা চলছে তাঁদের। তার মধ্যে রয়েছেন বাংলার অনেক বাসিন্দাও। সেই আহত যাত্রীদের দেখতে ফের ওড়িশা যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবারই এ কথা ঘোষণা করেছেন তিনি। এদিন হাওড়ায় ৪ মৃত যাত্রীকে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করেছেন মমতা। গত শুক্রবার করমণ্ডল এক্সপ্রেসে দুর্ঘটনার পরই শনিবার বালেশ্বরে গিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়।
হাওড়ায় আনা হল করমণ্ডল দুর্ঘটনায় মৃত চার যাত্রীর দেহ। তাঁদের শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। মমতা জানিয়েছেন, এখনও বহু যাত্রী ভর্তি আছেন ওড়িশার বিভিন্ন হাসপাতালে। তাঁদের দেখতে মঙ্গলবারই ওডিশা যাচ্ছেন তিনি।
আহত ও মৃত যাত্রীদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা আগেই ঘোষণা করবেন মুখ্যমন্ত্রী। এদিন তিনি জানিয়েছেন, মৃতদের পরিবারকে ৫ লক্ষ, ও পরিবারের একজনকে চাকরি দেওয়া হবে। এছাড়া, আহতদের ৫০ হাজার টাকা করে দেওয়া হবে। গুরুতর আহতদের ১ লক্ষ টাকা ও অপেক্ষাকৃত কম আঘাতপ্রাপ্তদের ২৫ হাজার টাকা করে দেওয়ার ঘোষণা করেছেন তিনি।যে সব যাত্রীদের কোনও ক্ষতি হয়নি কিন্তু ট্রমা মানসিক উদ্বেগে ভুগছেন, তাঁদের এককালীন ১০ হাজার টাকা দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন মমতা। পাশাপাশি, আগামী ৪ মাস তাঁদের ২ হাজার টাকা করে দেওয়া হবে। সরকারের তরফে দেওয়া হবে চাল, ডাল, তেলও। দুর্ঘটনায় যাঁদের হাত-পা বাদ গিয়েছে, তাঁদের পরিবারের সদস্যকে হোমগার্ডের চাকরি দেওয়া হবে বলে ঘোষণা করেছেন মমতা।
আরও পড়ুন – বিমানবন্দরে রুজিরাকে আটকানোয় বিরক্ত মমতা,
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, এখনও অন্তত ১২০ জনের দেহ শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি। আগে আহতদের পাশে দাঁড়ানো দরকার। আমিও জ্ঞানেশ্বরী এক্সপ্রেস দুর্ঘটনা, সাঁইথিয়া দুর্ঘটনায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলাম। এত বছর পরও কিছুই হয়নি। এটা সিবিআই-এর কাজ নয়। রেলওয়ে সেফটি কমিশনের বিষয়টা দেখা উচিত। মঙ্গলবার ওড়িশা সফরের পর বুধবার মৃত ও আহতদের পরিবারের হাতে চেক তুলে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন মমতা।