রাজ্যে শাহকে ‘স্বাগত’ জানিয়েও তোপ মমতার,সোমবার রাতেই বাংলায় সফরে আসছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ।মণিপুরের পরিস্থিতি নিয়ে এর আগে টুইট করে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। এ বার প্রকাশ্যেই কেন্দ্র এবং মণিপুরের রাজ্য সরকারকে আক্রমণ করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বাংলার মুখ্যমন্ত্রী বললেন, মণিপুরে যখন আগুন জ্বলছে তখন দেশের অন্য প্রান্তে ভোটের প্রচার চলছে। কর্নাটকে আসন্ন বিধানসভা ভোটের প্রচারে সেখানে গিয়েছিলেন দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। মমতা যদিও মোদীর নাম করেননি। তবে প্রশ্ন তুলেছেন, ‘‘নির্বাচন বেশি গুরুত্বপূর্ণ? নাকি মানুষের রক্ত?’’
সোমবার নবান্নে সাংবাদিক বৈঠক ছিল মমতার। সেখানে তাঁকে প্রশ্ন করা হয়, মণিপুর নিয়ে। বলা হয় তিনি-সহ দেশের বহু রাজনৈতিক নেতা টুইট করলেও প্রধানমন্ত্রী মোদী বা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ কোনও মন্তব্য বা টুইট করে মতামত জানাননি। এ প্রশ্ন শুনেই মমতা বলেন, ‘‘আমি কোনও ব্যক্তির বিরুদ্ধে মন্তব্য করব না। কারণ, যা বলেছি, তা রাজনীতির কারণে বলিনি। শান্তির জন্য বলেছি। মানবিকতার কথা ভেবে বলেছি। তবে আমার মনে হয় রাজনীতির প্রচার তো সহজ। ওঁদের মণিপুরে যাওয়া উচিত ছিল।’’
সোমবার রাতেই বাংলায় সফরে আসছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ। মঙ্গলবার দিনভর রাজ্যের বেশ কয়েকটি অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন তিনি। মমতা এ প্রসঙ্গে বলেছেন, ‘‘উনি বাংলায় আসুন, ওঁকে স্বাগত। আমি এমনও বলছি না, শান্তি ফেরানোর জন্য অশান্তির এলাকায় গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্বদের উপস্থিত থাকতে হবে। কিন্তু বাংলায় কিছু হলেই কিন্তু পরের দিন ওঁরা চলে আসেন। তখন ১৪৪ ধারা জারি থাকলেও তা মানেন না।’’
তবে মণিপুর নিয়ে এত কিছু বলার পরেও মমতা শেষে বলেছেন, তিনি প্রধানমন্ত্রী বা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর নাম বলছেন না। তিনি যা বলছেন, তা বাস্তব। কারণ বাস্তব সবার বেঁধে। মমতার কথায়, ‘‘আমি যা বলেছি তা রাজনীতি নয়, মানবতা। মানবতা হারিয়ে গেলে রাজনীতির কিছু অবশিষ্ট থাকে না।’’
আরও পড়ুন – বিধায়কের হয়ে কুড়মিদের কাছে মাফ চাইলেন মুখ্যমন্ত্রী
মণিপুরে বিজেপির নেতৃত্বাধীন সরকার। সেই সরকারের বিরুদ্ধে বিরোধীদের অভিযোগ, তারা বিক্ষোভকারীদের ‘দেখামাত্র গুলি করা’র নির্দেশ দিয়েছে। মমতা সেই প্রসঙ্গ তুলে কেন্দ্রকে কটাক্ষ করে বলেছেন, ‘‘ভোটের সময় ডাবল ইঞ্জিন সরকারের টোপ দিয়ে জোর করে ভোট নেবে আর ভোট হয়ে গেলে মুখ ফেরাবে? তখন রক্তের বন্যা বইলে ফিরেও তাকাবে না! শুনেছি, মণিপুরের সরকার দেখামাত্র গুলি করার নির্দেশ দিয়েছে। যে রাজ্য সরকারের দায়িত্ব মানুষকে রক্ষা করার তারা এমন নির্দেশ দেয় কী করে!’’