মমতা-শুভেন্দু মুখোমুখি বৈঠক,মুখ্যমন্ত্রী মমতার ঘরেই হবে বৈঠক। আগামী বুধবার বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে বসবেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। মুখ্যমন্ত্রী মমতার ঘরেই হবে বৈঠক। থাকবেন রাজ্যের পরিষদীয় মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। বিধানসভায় আবারও মুখোমুখি বৈঠকে বসতে চলেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং রাজ্যের বিরোধী দললেতা শুভেন্দু অধিকারী। আগামী বুধবার দুপুর সাড়ে ১২টা নাগাদ বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রীর ঘরে বসবে সেই বৈঠক। রাজ্যের মুখ্য তথ্য কমিশনার নিয়োগের বিষয়ে আলোচনা হবে। বৈঠকে থাকবেন রাজ্যের পরিষদীয় মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়ও।
আগামী বুধবার দুপুর ২টোয় বিধানসভায় বাজেট পেশ করা হবে। তার আগে দুপুর ১টায় মন্ত্রিসভার সঙ্গে বৈঠকে বসবেন মুখ্যমন্ত্রী। ওই বৈঠকের আগেই রাজ্যের বিরোধী দলনেতার সঙ্গে নিয়োগ সংক্রান্ত বৈঠকে বসার কথা মমতার। ওই দিন সন্ধ্যাবেলা মুখ্যমন্ত্রী দু’দিনের জঙ্গলমহল সফরে বেরোবেন।
রাজ্যের মুখ্য তথ্য কমিশনারের পদে সর্ব শেষ ছিলেন রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যসচিব বাসুদেব বন্দ্যোপাধ্যায়। সম্প্রতি রাজ্য ওই পদ পূরণে উদ্যোগী হয়। যে ১৫ জন এই পদের জন্য আবেদন করেন, তাঁদের মধ্যে রয়েছেন প্রাক্তন মুখ্যসচিব রাজীব সিন্হা। মুখ্যসচিবের পদ থেকে অবসর নেওয়ার পর সরকারি সংস্থা রাজ্য শিল্প উন্নয়ন নিগমের চেয়ারম্যান হন তিনি। এখন রাজীব, রাজ্য শিল্প পরিকাঠামো উন্নয়ন নিগমের চেয়ারম্যান। সেই পদে থেকেই তিনি রাজ্যের মুখ্য তথ্য কমিশনার পদের জন্য আবেদন করেছেন।
আবেদনকারীদের মধ্যে দুই অবসরপ্রাপ্ত আইপিএস আধিকারিক রয়েছেন, যাঁরা এখন তথ্য কমিশনের সদস্য— প্রাক্তন পুলিশ কর্তা বীরেন্দ্র ও রাজ কানোজিয়া। কমিশনের বর্তমান সদস্য অবসরপ্রাপ্ত আইএএস আধিকারিক নবীন প্রকাশও আবেদনকারীদের মধ্যে রয়েছেন। অবসরপ্রাপ্ত আরও এক আইএএস আধিকারিক মুখ্য তথ্য কমিশনার পদের জন্য আবেদন করেছেন— সদ্য অতিরিক্ত মুখ্যসচিবের পদ থেকে অবসর নেওয়া সুব্রত বিশ্বাস। ওই পদের জন্য আবেদন করেছেন স্পোর্টস অথরিটি অব ইন্ডিয়া (সাই)-র কর্তা প্রণয় দে। এ ছাড়াও এনটিপিসির কর্তা সুব্রতমোহন পালও এই পদের জন্য আবেদন করেছেন।
আরও পড়ুন – নওশাদকে পুলিশ ঠেলা মারতেই তার প্রশ্ন, ‘পার্থ’দা হলে এটা করতেন?’
প্রোটোকল অনুযায়ী, রাজ্যের মুখ্য তথ্য কমিশনার নিয়োগের জন্য মুখ্যমন্ত্রী, বিরোধী দলনেতা এবং পরিষদীয় মন্ত্রী বৈঠকে বসেন। সেই প্রোটোকল মেনেই আগামী বুধবার বিধানসভায় হবে বৈঠক। গত ছ’মাসেরও বেশি সময় ধরে এই পদটি খালি পড়ে রয়েছে। চলতি বছর ১৫ জন এই পদের জন্য আবেদন করেছেন। চার জন বয়সজনিত কারণে বাদ গিয়েছেন। ১১ জনের মধ্যে এক জনকে বাছাই করা হবে। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন প্রাক্তন আমলা এবং পুলিশ কর্তারা। খাদ্যভবনে রয়েছে মুখ্য তথ্য কমিশনারের দফতর। নিয়োগের পর সেখানেই বসবেন নতুন কমিশনার।