চোটের কারণে বাড়িতে বসেই এবার ভার্চুয়ালি পুজো উদ্বোধন করবেন মুখ্যমন্ত্রী

ভিআইপিদের জন্য যেন কোনও রাস্তা বন্ধ না করা হয়, বার্তা মুখ্যমন্ত্রীর

ঢাকে কাটি পরে গেছে। আর একদিন পরই মহালয়া। কার্যত পুজো শুরু বলাই চলে। যদিও হিসাব মতো পুজোর শুরু হতে এখনও বাকি এক সপ্তাহ। তবুও এখন মহালয়ের পরেই খুলে দেওয়া হয় বেশ কিছু প্যান্ডেল। তাই মহালয়ার পর থেকেই শুরু হয়ে যায় বাঙালির শ্রেষ্ট উৎসব। বৃহস্পতিবার থেকেই পুজোর মন্ডপের উদ্বোধন শুরু করবেন মুখ্যমন্ত্রী। বিদেশ সফর থেকে ফেরার পর পায়ের চোটের কারনে বাড়িতে বিশ্রামে থাকার জন্য এইবার পুজো উদ্বোধন বাড়িতে বসের ভার্চুয়ালি করবেন বলে জানা গিয়েছে।

আরও পড়ুনঃ নিয়োগ মামলায় ফের পার্থকে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি চেয়ে আদালতে আবেদন সিবিআইয়ের

মহালয়ার বাকি আর মাত্র একদিন। এর মধ্যেই প্যান্ডেল গুলিতে তোড়জোড় পরে গেছে পুজোর শেষ মুহুর্তের প্রস্তুতিতে। নবান্ন সুত্রে খবর চলতি বছর আটশো পুজো উদ্বোধন করবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়। সুত্রের খবর, আজ বিকেল চারটে নাগাদ প্রথমে মন্ত্রী সুজিত বসুর শ্রীভূমির পুজোর ভার্চুয়ালি উদ্বোধন দিয়ে শুরু করবেন মুখ্যমন্ত্রী।

 

প্রত্যেক বছর বহু পুজোর উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী। তবে এবার চোটের কারনে পুরো ব্যাপারটাই সারবেন ভার্চুযালি। সুত্রের খবর, আজ প্রথম দিন শ্রীভূমি-সহ হাতিবাগান সর্বজনীন, টালা প্রত্যয়, এন্টালি মাতৃভূমি সহ কলকাতার ৬টি পুজোর উদ্বোধন করার কথা রয়েছে তাঁর। উল্লেখ্য, এদিন মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে মন্ত্রীসভার বৈঠক ডেকেছেন তিনি। মনে করা হচ্ছে, আজ কালীঘাটের বাড়ির বৈঠকটি হতে চলেছে পুজো সংক্রান্ত। আজকের বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী নেতা মন্ত্রীদের উদ্দেশ্যে নির্দেশ দিতে পারেন, যাতে প্রত্যেকে তাদের নিজস্ব জায়গার পুজোতে উপস্থিত থাকেন। পুজো চলাকালীন যাতে কোনো অপ্রিতীকর ঘটনা না ঘটে সেদিকে নজর রাখার নির্দেশ দিতে পারেন তিনি।

 

প্রসঙ্গত, সম্প্রতি স্পেন ও দুবাই সফর করে ফিরেছেন মমতা বন্দোপাধ্যায়। কলকাতায় ফিরে পরেরদিনই হাটুর ব্যাথার জন্য ছোটেন এসএসকেএম হাসপাতালে। ডাক্তাররা তাঁকে বাড়িতে থাকার পরামর্শ দেন। সেইমতো গত প্রায় একমাস যাবত কালীঘাটে নিজস্ব বাসভবনেই বিশ্রামে রয়েছেন মমতা বন্দোপাধ্যায়।  বাড়িতে থেকেই বিভিন্ন বৈঠকে ফোন মারফত যোগ দিচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী। এমনকি বাড়ি থেকেই কাজ করছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাই এদিন ভার্চুয়ালি উদ্বোধনে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কী বার্তা দেন, সেদিকেই নজর রাজনৈতিক মহল থেকে শুরু করে প্রশাসনিক মহলের।

en.wikipedia.org