আগরতলায় ত্রিপুরেশ্বরী মন্দিরে পুজো দিলেন এবং এক সিঙাড়ার দোকানে ঢুকে ময়দার লেচি বেললেন মুখ্যমন্ত্রী
দার্জিলিঙে গিয়ে মোমো তৈরি করেছিলেন মমতা। গত বছর নভেম্বরে বেলাপাহড়ির কর্মসূচিতে গিয়ে শিলদার কাছে পথে গাড়ি থামিয়ে চপ বিক্রি করেছিলেন। এ বার ত্রিপুরায় গিয়ে জনসংযোগ করলেন মুখ্যমন্ত্রী (mamata banerjee )।এ রাজ্যের কোনও জেলা হোক বা ভিন্ রাজ্য, যেখানেই তিনি যান, তিনি সেখানকার ভাষায় কথা বলেন। জনসংযোগের সময় আচমকা কোনও দোকানে ঢুকে স্থানীয় খাবার তৈরির চেষ্টা করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ত্রিপুরা সফরেও তার ব্যত্যয় হল না। আগরতলার একটি দোকানে ঢুকে সিঙাড়া তৈরি করতে শুরু করে মমতা। অন্য একটি দোকানে ঢুকে পানও তৈরি করলেন তিনি।
এর আগে দার্জিলিঙে গিয়ে মোমো তৈরি করেছিলেন মমতা। গত বছর নভেম্বরে বেলাপাহড়ির কর্মসূচিতে গিয়ে শিলদার কাছে পথে গাড়ি থামিয়ে চপ বিক্রি করেছিলেন। এ বার সেই নিজস্ব ভঙ্গিতেই ভোটের আগে ত্রিপুরায় গিয়ে জনসংযোগ করলেন মুখ্যমন্ত্রী। সোমবার আগরতলা বিমানবন্দরে নেমে অবশ্য মমতা জানিছিলেন, বাংলার থেকে ত্রিপুরাকে আলাদা ভাবে দেখেন না। জনসংযোগের সময়ও তা-ই মেনে চললেন। আগরতলায় আচমকা এক দোকানে ঢুকে শিঙাড়ার জন্য ময়দার লেচি বেললেন। পাশেই ছিল একটি পানের দোকান। সেখানে ঢুকে পান তৈরির খুঁটিনাটিরও খোঁজ নিলেন। আর এই পুরো সময়ে তাঁর পিছনে দাঁড়িয়ে ছিলেন সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
আরও পড়ুন –গ্রেফতার ভিকি কৌশল, কি কারণে হাজতবাস অভিনেতার ?
সোমবার উদয়পুরে গিয়ে ত্রিপুরেশ্বরী মন্দিরে পুজো দেওয়ার কথা ছিল মমতার। বিকেলে অভিষেককে সঙ্গে নিয়ে মন্দিরে পুজো দিয়ে এসেছেন তিনি। মঙ্গলবার আগরতলায় রোড শো করতে পারেন মমতা। রবীন্দ্র শতবার্ষিকী ভবনের সামনে থেকে শুরু করে শহর পরিক্রমা করে আবার সেখানেই ফিরে সভা করতে পারেন তিনি।
১৬ ফেব্রুয়ারি ত্রিপুরায় ভোট। রবিবার সেখানে নির্বাচনী ইস্তাহার প্রকাশ করেছেন তৃণমূল। এক দিন পর সেখানে গেলেন দলীয় নেত্রী মমতা। ইস্তাহারে ‘সবুজসাথী’, স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ডের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে তৃণমূল। চাকরি হারানো ১০ হাজার ৩২৩ জন শিক্ষককে আর্থিক সহায়তা, বর্ষীয়ান নাগরিকদের জন্য দুয়ারে দু’হাজার টাকা পৌঁছে দেওয়ার কথাও বলা হয়েছে। তার পরে তৃণমূলকে ‘পরিযায়ী পাখি’ বলে কটাক্ষ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা। সেই অভিযোগের জবাব দিতেই সোমবার আগরতলার পথে জনসংযোগ করলেন মমতা। তাঁকে ঘিরে থাকলেন বহু স্থানীয় মানুষ।