ফের শহর কলকাতায় চলল গুলি। নোংরা ফেলায় বাধা দেওয়ায় গুলি চালানো হয়েছে বলে অভিযোগ ওঠে। কসবার বৈকুণ্ঠ ঘোষ রোডের ঘটনা। সামান্য ময়লা ফেলায় আপত্তি করার জন্য গুলি চালানোর অভিযোগ। তদন্তে নেমেছে কসবা থানার পুলিশ। সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার রাত্রি সাড়ে দশটা নাগাদ বৈকুণ্ঠ ঘোষ রোডে অবস্থিত স্থানীয় একটি ক্লাবের সামনে সৌমিত মণ্ডল নামে এক ব্যক্তি ময়লা ফেলতে গিয়েছিলেন। স্থানীয় বাসিন্দারা তাঁকে বারণ করেন রাস্তার উপর ময়লা ফেলতে। এরপর তিনি সেখান থেকে চলে গেলেও অভিযোগ পরে একটি পিস্তল নিয়ে এসে আবার হাজির হন। তারপর ক্লাবের ভিতরে থাকা লোকজনদের উদ্দেশ্য করে ওই ব্যক্তি জানান তিনি ময়লা রাস্তার উপরেই ফেলবেন। অভিযোগ, এরপরই শূন্যে গুলি চালান সৌমিত। ঘটনাস্থলে আসেন কসবা থানার পুলিশ। অভিযুক্তকে আটক করে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুনঃ ‘ভারত চাঁদে পৌঁছে গেল, আর পাকিস্তান ভিক্ষা চাইছে,’ দেশের আর্থিক সঙ্কট নিয়ে বিস্ফোরক নওয়াজ
এ দিকে, বুধবার সকাল পর্যন্ত ওই জায়গাটি পুলিশি ঘেরাটোপের মধ্যে রয়েছে বলে দাবি করেছেন স্থানীয় মানুষজন। অভিযোগকারী এক বাসিন্দা বলেন, “রাস্তায় ময়লা ফেলার প্রতিবাদ করার জন্য উনি যদি গুলি চালায় তাহলে আর কিছু বলার নেই। উনি সকাল থেকে গালাগালি দিয়ে বলছেন তোদের বুঝে নেব। শুধু তাই নয়, কখনও পুলিশ কখনও প্রেসের স্টিকার গাড়িতে লাগিয়ে ঘোরে। কালকে রাত্রিবেলা গুলি চালানোর পর আমরা কসবা থানায় অভিযোগ করে এলাম। এরপরও আজ সকালে ওই মানুষ কীভাবে এলাকায় ঢোকে। কখনও পুলিশ কখনও প্রেসের স্টিকার গাড়িতে লাগিয়ে ঘোরে। কালকে রাত্রিবেলা গুলি চালানোর পর আমরা কসবা থানায় অভিযোগ করে এলাম। এরপরও আজ সকালে ওই মানুষ কীভাবে এলাকায় ঢোকে।”
এলাকাবাসীর দাবি, সৌমিত মণ্ডল তাঁর গাড়িতে ‘প্রেস’ ও ‘পুলিশ’ দুই স্টিকার লাগিয়ে ঘোরেন। তাঁর আসল পরিচয় নিয়েও সন্দেহ প্রকাশ করেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তাঁদের আরও প্রশ্ন ওই ব্যক্তির কাছে কীভাবে এল বন্দুক, তাঁর কাছে কি উপযুক্ত লাইসেন্স আদৌ রয়েছে? সবটাই খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তাঁর গাড়িতে ‘প্রেস’ ও ‘পুলিশ’ দুই স্টিকার লাগিয়ে ঘোরেন। তাঁর আসল পরিচয় নিয়েও সন্দেহ প্রকাশ করেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তাঁদের আরও প্রশ্ন ওই ব্যক্তির কাছে কীভাবে এল বন্দুক, তাঁর কাছে কি উপযুক্ত লাইসেন্স আদৌ রয়েছে? সবটাই খতিয়ে দেখা হচ্ছে।