
দুয়ারে সরকার শিবিরে আসা মানুষদের “মাস্ক” ( masks ) ব্যাবহারে জোর দিলেন জনপ্রতিনিধিরা। সোমবার বিভিন্ন শিবিরে দেখা গিয়েছিল স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার জন্য সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখছিলনা এমনকি মাস্ক ( masks ) বিহীন মানুষের সংখ্যাও কম ছিলনা। সোমবারের এই চিত্র দেখে প্রশাসনের পাশাপাশি রাজনৈতিক মহলে উদ্বেগ বাড়িয়েছিল। আর সোমবারের এই অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে মঙ্গলবার বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করেছিলেন কয়েকটি গ্রাম পঞ্চায়েত।
আর ও পড়ুন ঢাকার আর্টিজান জঙ্গি হামলার ঘটনা নিয়ে এবার সিনেমা (Cinema) হচ্ছে বলিউডে (Bollywood)
মঙ্গলবার সকালে বাগনান এক নম্বর ব্লকের সাবসীট গ্রাম পঞ্চায়েতের সত্যপীরতলায় পঞ্চায়েত অফিসের কার্য্যালয়ের সামনে গিয়ে দেখা গেল সিংহভাগ লোকের মুখে মাস্ক ( masks ) নেই। আর এই চিত্র দেখে সাবসীট গ্রাম পঞ্চায়েতের পক্ষ থেকে মাইকিং করে সকলকে মাস্ক পরার ব্যাপারে সচেতন করার কাজ শুরু হল। এমনকি মাস্ক না পরে থাকলে ফর্ম ফিলাপ করতে দেওয়া হবেনা বলেও সতর্ক করা হল। অন্যদিকে এই ঘোষণার সময় আমতা কেন্দ্রের বিধায়ক সুকান্ত পাল ও বাগনান এক নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি পঞ্চানন দাস শিবির পরিদর্শন করেছিলেন। তাদের হাতে ছিল একগুচ্ছ মাস্ক। পরিদর্শনের সময় তারা মাস্কবিহীন অবস্থায় লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা মানুষদের মাস্ক বিতরণ করেন।
আর ও পড়ুন আজ রাজ্য জুড়ে পালিত হল ‘খেলা হবে’ দিবস ( Khela Hobe Dibas )
অন্যদিকে উলুবেড়িয়ার মহেশপুর হাইস্কুলে মহেশপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের উদ্যোগে অনুরূপ শিবির বসেছিল। মঙ্গলবার সকালে রাজ্যের জনসাস্থ্য ও কারিগরি দপ্তরের মন্ত্রী পুলক রায় মহেশপুর হাইস্কুল ও কৈজুড়ী হাই স্কুল পরিদর্শন করার পাশাপাশি করোনা সুরক্ষা বিধি মেনে চলার পরামর্শ দেন। এদিন মন্ত্রীর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন উলুবেড়িয়া এক নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির সভানেত্রী সুলতানা বেগম। তিনি যেসব মানুষ মাস্ক পরে আসেন নি, তাদের মাস্ক পরিয়ে দিচ্ছিলেন। সুলতানা বলেন, মন্ত্রীর নির্দেশ ছিল সকলে যাতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলে তা লক্ষ্য রাখতে হবে। সেই কারণে শিবিরে আসা মানুষদের প্রতি বিশেষ নজর রাখা হচ্ছে।