ভয়াবহ তুষারধস সিকিমের নাথু লা-য়,বহু পর্যটক আটকে পড়ার আশঙ্কা, মৃত্যু কমপক্ষে ৬জনের , শুরু হয়েছে উদ্ধারকাজ। দুপুর ১২টা ২০ মিনিট নাগাদ ধস নামে। উদ্ধারকাজে নেমেছে সিকিম পুলিশ, সিকিমের ট্র্যাভেল অ্যাসোসিয়েশন, পর্যটন দফতর। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ২২ জন পর্যটককে উদ্ধার করা হয়েছে।
পর্যটন কেন্দ্র তো বটেই, নাথু লা আন্তর্জাতিক ভাবেও গুরুত্বপূর্ণ। নাথু লা দিয়ে চিন এবং ভারতের মধ্যে ব্যবসা বাণিজ্য চলে। প্রাচীন সিল্ক রুটের অন্তর্গত ছিল এই অঞ্চল। ২০০৬ সাল থেকে নাথু লা ধরে ভারত ও চিনের মধ্যে ব্যবসা বাণিজ্য হয়ে আসছে। ২০১১ সালে সিকিমে ভূমিকম্প হওয়ার পর এবং ২০১৭ সালে ডোকলাম বিতর্কের সময় নাথু লা দিয়ে দুই দেশের আমদানি, রফতানি বন্ধ ছিল। ডোকলাম সংঘর্ষের জেরে চিন বন্ধ করে দিয়েছিল কৈলাস-মানস সরোবর যাত্রাও। সীমান্ত পরিস্থিতি উন্নত হওয়ার পরে ভারতীয় তীর্থযাত্রীদের জন্য ফের নাথু লা খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় চিন। ১৯৬২ সালে চিনের আক্রমণের সময়ও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল নাথু লা-র।
পর্যটকদের জন্য ছাঙ্গু লেক খুবই জনপ্রিয়। সেখানে যাওয়ার পথে ধস নামায় বহু পর্যটক আটকে পড়েছেন বলে আশঙ্কা। নাথু লা-কে কেন্দ্র করে অনেকগুলি পর্যটনস্থলে যাওয়া যায়। ফলে এই অঞ্চলে তুষার ধস নামায় সামগ্রিক ভাবে সিকিমের পর্যটন বিভাগ চিন্তিত।
আরও পড়ুন – বিয়েতে উপহার পাওয়া ‘হোম থিয়েটারে’ মৃত্যু বর এবং তাঁর দাদার, উড়লো বাড়ির…
স্থানীয় সূত্রে খবর, গ্যাংটক থেকে নাথু লা যাওয়ার পথে ১৫ মাইলে হঠাৎই পর্যটক বোঝাই একটি গাড়ির উপর তুষারধস নেমে আসে। গাড়ির পর্যটকেরা খাদের দিকে ছিটকে যান৷ সুত্রের খবর, গাড়িতে ১৫ জনের মতো পর্যটক ছিলেন। যাঁদের মধ্যে একাধিক পর্যটকের মৃত দেহ উদ্ধার হয়েছে। বাকি বহু পর্যটককে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। তাঁদের সেনার বেস ক্যাম্পে প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তবে নিহতদের সঠিক সংখ্যা সিকিম সরকার বা সেনার তরফ থেকে এখনও জানানো হয়নি। অন্যদিকে, ইতিমধ্যেই উদ্ধারকার্যে হাত লাগিয়েছে সেনা। চলছে উদ্ধারকাজ। পাশাপাশি দু’দিকেই রাস্তা বন্ধ। এক প্রান্তে ৩৫০ অন্য প্রান্তে ৪৫০ জনের মতো পর্যটক আটকে রয়েছেন বলে প্রশাসন সূত্রে খবর।