আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকীর গ্রেফতারি প্রসঙ্গে কি বলেন মহম্মদ সেলিম , ‘নওশাদ সিদ্দিকী রাজ্যের একমাত্র বিরোধী দলের বিধায়ক। নওশাদকে তৃণমূল কোটি কোটি টাকা দিয়ে কিনতে চেয়েছিল,মন্ত্রিত্বের টোপও দেওয়া হয়েছিল।’প্রায় আট বছর পর মঙ্গলবার দাসপুরের মাটিতে দাঁড়িয়ে বক্তব্য পেশ করলেন মহম্মদ সেলিম। একই সঙ্গে রাজ্য সরকার এবং কেন্দ্রীয় সরকারের নেতাদের বিরুদ্ধে কড়া ভাষায় আক্রমণ শানাতে দেখা গেল প্রবীণ বাম নেতা সুশান্ত ঘোষ থেকে শুরু করে বাম পলিটবুরো সদস্য তথা সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিমকে। গরু পাচার ইস্যুতে বিজেপি ও তৃণমূল উভয়কেই আক্রমণ করলেন প্রবীণ নেতা। সেলিম বলেন, ‘বিএসএফ আর রাজ্য পুলিশ এককাট্টা না হলে কখনও গরু পাচার সফল হয় না, আসলে তলে তলে সবাই এক।’ আগামী পঞ্চায়েত নির্বাচনে বামেরা একা লড়বে নাকি আসন সমঝোতার পথে হাঁটবে দল? এ প্রশ্নের উত্তরের মহম্মদ সেলিম জানান, তৃণমূল এবং বিজেপির বিরুদ্ধে সব মানুষকে এক জায়গায় করবেন তাঁরা। তাঁর কথায়, দল, ব্যক্তি বা গোষ্ঠী যে কেউ হতে পারে, যাঁরা তৃণমূল বা বিজেপির কাছে বিক্রি হবে না তাঁদের একজোট করা হচ্ছে।
ভাঙড় প্রসঙ্গেও এ দিন মুখ খুলেছেন সেলিম। তিনি বলেন, ‘তিন দিন ধরে ভাঙড়ে কোনও মিটিং মিছিল করা চলবে না বলে পুলিশ আমাদের নোটিস দিয়েছে। পুলিশের কথায়, সেখানে নাকি আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভাল নেই। এতেই প্রমাণ হয়েছে তৃণমুলের আমলে পুলিশের দ্বারা আইন শৃঙ্খলা চৌপাট হয়েছে।’
আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকীর গ্রেফতারি প্রসঙ্গে মহম্মদ সেলিম বলেন, ‘নওশাদ সিদ্দিকী রাজ্যের একমাত্র বিরোধী দলের বিধায়ক। নওশাদকে তৃণমূল কোটি কোটি টাকা দিয়ে কিনতে চেয়েছিল,মন্ত্রিত্বের টোপও দেওয়া হয়েছিল।’ বাম নেতার দাবি, এভাবে আদতে তৃণমূল বিরোধীদের কন্ঠরোধ করতে চেয়েছিল।
আরও পড়ুন –কাদের হয় ফ্যাটি লিভার , কীভাবে রুখবে?আর হলেই বা কতটা বিপদ?
এদিন দাসপুরের জনসভায় ভিন্ন ছবি ও প্রচার কৌশল দেখা গেল বামেদের। মনে করা হচ্ছে, আগামী পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে বাম শিবির প্রচার এবং জনসভার পদ্ধতিটাই আমুল বদলে ফেলতে চাইছে। চিরাচরিত মেদ ঝরিয়ে ফেলতে তৎপর হয়েছে তারা। এদিন দাসপুরের সোনাখালিতে বামেদের আয়োজিত জনসভায় ছিল একাধিক ব্যঙ্গচিত্রের পোস্টার আর ব্যানার। ব্যঙ্গচিত্রে ধরা পড়স দুর্নীতি সহ নানা ইস্যু।