নিজস্ব সংবাদদাতা, উত্তর দিনাজপুর , ৯ অক্টোবর, ২০২০ :একে তো দীর্ঘ লকডাউন, করোনা আবহে আর্থিক সংকটে ভুগেছেন সারা বাংলার মানুষ। তবে পুজো আসতে স্বাভাবিক হয়েছে জীবনযাত্রা। কিন্তু স্বাভাবিক হচ্ছে না মাইক ব্যবসায়ীদের পরিস্থিতি।
তাঁদের অভিযোগ পুজো কমিটিগুলি সবার আগে মাইক ব্যবসায়ীদের নাম কাটছাঁট করেছে। এখনো পর্যন্ত পান নী কোন অর্ডার। যা অর্ডার আগে এসেছিল প্রায় সবই বাতিল হয়ে গিয়েছে।তাহলে কি তাঁদের আর্থিক দুরদুশা কাটবে না। এই আশঙ্কাতেই রয়েছেন উত্তরবঙ্গের অন্যতম সেরা রায়গঞ্জ শহরের মাইক ও সাউন্ড সিস্টেম ব্যাবসায়ীরা।আকাশের বুকে সাদা পেঁজা তুলোর মেঘ খুশীতে ভেসে বেড়ালেও এবার পুজোয় মন ভার আনন্দের অন্যতম প্রধান উপকরন সাউন্ড সিস্টেম ও মাইক ব্যাবসায়ীদের। নমো নমো করে পূজো কমিটিগুলো মায়ের আরাধনা সারলেও উৎসবে মেতে ওঠার মাইকে বা সাউন্ড সিস্টেমে গান কি এবার আদৌ বাজবে মন্ডপে মন্ডপে! সেই প্রশ্নই ঘুরপাক খাচ্ছে মাইক ব্যাবসায়ীদের মাথায়। কেননা এখনও পর্যন্ত কোনও পুজো কমিটিই সাউন্ড সিস্টেম বা মাইক বাজানোর জন্য অর্ডার দিয়ে যায়নি। বুক করেও যায়নি তাদের কতগুলো মাইক বা সাউন্ডবক্স লাগবে পূজো মন্ডপে। সব পূজো কমিটিই কাটছাঁট করেছে তাদের বাজেটে। সেই বাজেট কাটছাঁটে কোপ পরতে পারে মন্ডপে মাইকের ব্যাবহারেও। এই আশঙ্কাতেই রয়েছেন উত্তরবঙ্গের অন্যতম সেরা রায়গঞ্জ শহরের মাইক ও সাউন্ড সিস্টেম ব্যাবসায়ীরা।পূজোতে প্রতিটি পূজো মন্ডপে প্যান্ডেল থিম ও আলোকসজ্জা যেমন মানুষের নজর কাড়ে তেমনি ” সাউন্ড সিস্টেমও পূজোতে একটা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। মাইক ও সাউন্ডবক্স ছাড়া পূজো যেন বেমানান।
আরও পড়ুন…দেড় মাসের কন্যা সন্তানকে কুপিয়ে খুন করলো মা
পূজোতে প্রানের সঞ্চার করে এই মাইক ও সাউন্ডবক্স। পূজোর মাত্র আর কয়েকটা দিন বাকি। কিন্তু এবছর করোনার কারনে সবকিছু যেন থেমে রয়েছে। রায়গঞ্জের বিগ বাজেটের পূজো থেকে ছোট পূজো কমিটিগুলো এবার পূজো সারছেন একেবারে নমো নমো করেই। ফলে পুজোর বাড়তি আনন্দ দিতে মাইকের ব্যাবহার আদৌ পুজো কমিটিগুলো রাখবে কিনা তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন রায়গঞ্জের মাইক ব্যাবসায়ীরা।