রাজ্য রাজ্যপাল সংঘাত এবার চরমে , রাজ্যপাল বোসের এক্তিয়ার কতটা, জানতে সুপ্রিম কোর্টে যাচ্ছে শিক্ষা দফতর। জ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের (C V Ananda Bose) এক্তিয়ার জানতে এবার সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার পরিকল্পনা নিচ্ছে শিক্ষা দফতর। উচ্চ শিক্ষায় নজিরবিহীন হস্তক্ষেপের অভিযোগ রাজভবনের বিরুদ্ধে। রাজ্যপাল পদাধিকার বলেই রাজ্যের সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলির আচার্য। অর্থাৎ সিভি আনন্দ বোস এখন রাজ্যের বিভিন্ন সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য পদে আছেন। ইতিমধ্যেই তিনি ‘ইউনিভার্সিটি কো অর্ডিনেশন সেন্টার’ অর্থাৎ বিশ্ববিদ্যালয়ের সমন্বয় কেন্দ্র তৈরি করেছেন। যা নিয়ে প্রথম থেকেই সরব শিক্ষা দফতর। এরইমধ্যে দেশের শীর্ষ আদালতে দ্বারস্থ হচ্ছেন বলে জানালেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। এখানে রাজভবনের এক্তিয়ার কতটা, তা জানতেই দেশের শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হতে চলেছেন তাঁরা। শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু বলেন, “নির্বাচিত রাজ্য সরকার, শিক্ষা দফতরকে বাদ দিয়ে এটা উনি করতে পারেন কি না সেটা জানতে চাওয়ার জন্য আমরা শীর্ষ আদালতের যেতে চাইছি। নিশ্চয়ই এর সদুত্তর পাব।”
শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু বলেন, রাজ্যপাল যে কর্মকাণ্ড চালাচ্ছেন, সেটা স্বৈরাচারের থেকে কম কিছু না। রাজ্যপালের এই কর্মকাণ্ড আদৌ উচিৎ কি না তা জানতেই রাজ্য় সরকার সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হতে চলেছে বলে ইঙ্গিত দিলেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। এছাড়াও ব্রাত্য বসু বলেন, “রাজভবন থেকে উচ্চশিক্ষায় আমাদের রাজ্যে নজিরবিহীনভাবে হস্তক্ষেপ চলছে। আমরা কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছি। আমরা সামনে একটা কনভেনশন করছি। সেখানে সারা ভারতবর্ষ থেকে লোকজন আসছেন। আমরা সেখানে সুর চড়াতে পারি। আমরা তো কোনও বিশ্ববিদ্যালয়ে অচলাবস্থা তৈরি করতে চাই না। পারলেও চাই না। বরং আমরা সব পক্ষকে বলব এই যে নজিরবিহীন হস্তক্ষেপ চলছে, তাতে আপনারা নির্বাচিত সরকারের পাশে থাকুন।”
আরও পড়ুন – রাজ্যে নতুন একটি বিমানবন্দর তৈরির কথা বিধানসভায় জানালেন মুখ্যমন্ত্রী
পাশাপাশি সোমবার মৌলানা আবুল কালাম আজাদ ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজি বা ম্যাকাউটের সল্টলেক ক্যাম্পাসে ভাইস চান্সেলরদের নিয়ে ইউনিভার্সিটি কোঅর্ডিনেশন সেন্টারের বৈঠকে বসেন সিভি আনন্দ বোস।