বিয়ে করতে চাই না, এসে আটকান বিডিও অফিসে ফোন করে বলল এক নাবালিকা

বিয়ে করতে চাই না, এসে আটকান বিডিও অফিসে ফোন করে বলল এক নাবালিকা

Facebook
Twitter
LinkedIn
Email
WhatsApp
Print
Telegram

বিয়ে করতে চাই না, এসে আটকান বিডিও অফিসে ফোন করে বলল এক নাবালিকা

বিয়ে করতে চাই না, এসে আটকান বিডিও অফিসে ফোন করে বলল এক নাবালিকাবয়স হয়নি, তবু বাড়ির লোক বিয়ে পাকা করে ফেলেছে মেয়ের। কিছুতেই তাতে রাজি নয় নাবালিকা। বাড়ির লোককে বুঝিয়ে কাজ হয়নি। তাই শেষমেশ নিজেই নামে ময়দানে। বিডিও অফিসে ফোন করে বিয়ে রুখল সুন্দরবনের সাহসিনী। টোল ফ্রি নম্বর ১০৯৮-এ ফোন করে নিজের বিয়ে নিজেই আটকায় সে। উত্তর ২৪ পরগনার বসিরহাটের সুন্দরবনের হাসনাবাদ ব্লক। সেখানেই শুক্রবার এই ঘটনা ঘটে। জানা গিয়েছে, ওই নাবালিকার বয়স ১৫ বছর। দশম শ্রেণিতে পড়ে সে। বাবা বিশেষভাবে সক্ষম তিনি। মা গৃহবধূ। ঘরে দুই ছেলে, এক মেয়ে। পাঁচজনের সংসারে দৈন্যতার সর্বক্ষণের ছায়া। নুন আনতে পান্তা ফুরনো সংসারে এই নাবালিকাই যেন ‘বোঝা’। মা, বাবা ভেবেছিলেন মেয়েকে পাত্রস্থ করতে পারলে কিছুটা ভার লাঘব হয়। প্রতিবেশী বছর ২৪-এর যুবকের সঙ্গেই বিয়ে ঠিক করেছিলেন। শুক্রবারই ছিল বিয়ে।

 

 

 

স্থানীয় সূত্রে খবর, কোনওভাবেই বিয়ে করতে চায়নি ওই নাবালিকা। পড়াশোনায় ভাল সে। বড় হয়ে কিছু করতে চায়। সংসার করার তো তার বয়সই হয়নি। তাই বিয়েতে রাজি ছিল না। এরপরই হাসনাবাদের সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিকের কন্যাশ্রী বিভাগের আধিকারিককে ফোনে বিষয়টি জানান। এরপর প্রশাসন নড়েচড়ে বসে।

 

আরও পড়ুন –  আচমকা আবার শীত, দিনভর শীতের আমেজ থাকবে জেলায় জেলায়।

 

হাসনাবাদের বিডিওর নির্দেশে পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে সোজা বিয়ে বাড়িতে হাজির হন পাঁচজনের প্রতিনিধি দল। বিয়ে বন্ধ করে দেন তাঁরা। বাবা, মা ও পাত্রের কাছ থেকে মুচলেকা নিয়ে বিয়ে বন্ধ করে দেওয়া হয়। আধিকারিকরা বোঝান, আগামী বছর ছাত্রী মাধ্যমিক দেবে। কন্যাশ্রী থেকে শুরু করে সব রকম সুবিধা পাবে। প্রাপ্তবয়স্ক হলেও সরকারি প্রকল্প রূপশ্রীতে টাকা পাবে। এই বয়সে মেয়ের বিয়ে দেওয়া দণ্ডনীয় অপরাধ বলে বোঝান তাঁরা।

(সব খবর, ঠিক খবর, প্রত্যেক মুহূর্তে ফলো করুন facebook পেজ এবং youtube )

RECOMMENDED FOR YOU.....

Scroll to Top