শুক্রবার বারাণসীতে মোদী, সেখানে ওয়ান ওয়ার্ল্ড টিবি সামিটে অংশ নেবেন তিনি। শুক্রবার (২৪ মার্চ) বারাণসীতে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Prime Minister Narendra Modi)। আজ (বুধবার) প্রধানমন্ত্রীর দফতরের তরফে একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, ২৪ মার্চ বারাণসীতে এক বিশ্ব যক্ষ্মা সম্মেলনে (One World TB Summit) বক্তব্য রাখবেন তিনি। এর পাশাপাশি ১৭৮০ কোটি টাকারও বেশি মূল্যের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক প্রকল্পের উদ্বোধন ও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন নমো। বিশ্ব যক্ষ্মা দিবস উপলক্ষে সকাল সাড়ে ১০টায় রুদ্রকাশ কনভেনশন সেন্টারে ওয়ান ওয়ার্ল্ড টিবি সামিটে ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
মোদী একটি যাত্রীবাহী রোপওয়ে, একটি আবর্জনা ব্যবস্থাপনা প্ল্যান্ট, একটি এলপিজি বটলিং প্ল্যান্ট সহ বেশ কয়েকটি উন্নয়নমূলক উদ্যোগের শিলান্যাস করবেন। বারাণসী ক্যান্টনমেন্ট স্টেশন থেকে গোডোলিয়া পর্যন্ত যাত্রীবাহী রোপওয়ে পরিষেবা চালু করতে খরচ হবে প্রায় ৬৪৫ কোটি টাকা। পাঁচটি স্টেশন সহ রোপওয়ে সিস্টেমটির দৈর্ঘ্য হবে ৩.৭৫ কিলোমিটার। এর ফলে পর্যটক, তীর্থযাত্রী এবং বারাণসীর বাসিন্দাদের যাতায়াত আরও সহজতর হবে। নমামি গঙ্গা প্রকল্পের আওতায় ভগবানপুরে নিকাশি শোধনাগারটি ৩০০ কোটি টাকারও বেশি ব্যয়ে তৈরি করা হবে। এই সফরকালে প্রধানমন্ত্রী মোদী বারাণসী স্মার্ট সিটি মিশনের অধীনে রাজঘাট এবং মহমুরগঞ্জ সরকারি স্কুলগুলির পুনর্নির্মাণ, শহরের অভ্যন্তরীণ রাস্তাগুলির সৌন্দর্যবর্ধন,শহরের ছয়টি পার্ক এবং পুকুরের পুনর্নির্মাণসহ বিভিন্ন প্রকল্পও উৎসর্গ করবেন।
আরও পড়ুন – পুরীতে জগন্নাথ মূর্তি ও বহুমূল্য ধ্বজা পেলেন মমতা, প্রার্থনায় কী চাইলেন মুখ্যমন্ত্রী…
এই অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী যক্ষ্মা-মুক্ত পঞ্চায়েত উদ্যোগ, সংক্ষিপ্ত যক্ষ্মা প্রতিরোধমূলক চিকিৎসা (টিপিটি), যক্ষ্মার জন্য পরিবার-কেন্দ্রিক যত্ন নেওয়ার মডেল এবং ভারতের বার্ষিক যক্ষ্মা প্রতিবেদন ২০২৩ প্রকাশসহ বিভিন্ন উদ্যোগের সূচনা করবেন। এই অনুষ্ঠান থেকে সংক্রামক ব্যাকটেরিয়া জনিত রোগের অবসান ঘটানোর দিকে অগ্রগতির জন্য বেশ কিছু নির্বাচিত রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলকে পুরস্কৃতও করা হবে। প্রসঙ্গত, ভারত তার যক্ষ্মা নির্মূলের লক্ষ্যপূরণে এগিয়ে চলেছে। এই পরিস্থিতিতে যক্ষ্মা-সম্পর্কিত বিভিন্ন লক্ষ্যগুলি নিয়ে আরও আলোচনার সুযোগ দেবে এই বিশ্ব যক্ষ্মা শীর্ষ সম্মেলন। বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, এটি জাতীয় যক্ষ্মা নির্মূল কর্মসূচি থেকে শিক্ষা প্রদর্শনের একটি সুযোগও হবে। ২৪ মার্চের এই সম্মেলনে ৩০ টিরও বেশি দেশের আন্তর্জাতিক প্রতিনিধিদের উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে।