কালো বিকিনিতে কেক কাটলেন মনামী, কে বলবে বয়স ৩৮ ? জন্মদিনের এই বিশেষ ছবি পোস্ট করতেই ধেয়ে এসেছে একাধিক মন্তব্য। কেউ আবার তাঁর ছবি দেখে লিখেছে বাংলার দীপিকা পাড়ুকোন , বয়স তাঁর বাড়ে না। ১৬ বছরে তিনি ঠিক যেমন ছিলেন এখনও ঠিক তাই। শরীরে এক ফোঁটাও অতিরিক্ত মেদ জমেনি। কোমর সেই আগের মতই সরু। মাখনের মত কোমন ত্বক। শাড়ি, সালোয়ার, বিকিনি, ড্রেস- যাই পরুন না কেন তাতেই তাক লাগিয়ে দিতে জানেন। সোশ্যাল মিডিয়াতে মনামীর ছবি মানেই সুপার হিট। বাঙালির ড্রইং রুমের কন্যা তিনি। এবার সেই কন্যাই ধরা দিলেন কালো মনোকিনিতে। সমুদ্রে হাঁটুজলে দাঁড়িয়ে কাটলেন জন্মদিনের বিশেষ কেক। জন্মদিনের আগেই ব্যাঙ্কক উড়ে গিয়েছিলেন তিনি। আর সেখানেই হল তাঁর জন্মদিনের বিশেষ সেলিব্রেশন। লাল-সাদায় ভ্যানিলা কেক হাতে ধরা দিলেন জলপরীর বেশে। আর সেই ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করতেই আলোর গতিতে ধেয়ে এল মন্তব্য।
এবারের জন্মদিন পালন করতে ব্যাঙ্ককে গিয়েছেন মনামী। সেখান থেকেই করলেন এই বিশেষ ছবি পোস্ট। সারাদিন ডায়েট, ফল আর শরীরচর্চাতেই কেটে যায় তাঁর। ঘুরতে গিয়েও অবশ্য ফাঁকি নেই। স্টোরিতেই দেখা গিয়েছে হাতে একথালা ফল নিয়ে ব্রেকফাস্ট সারছেন তিনি। জন্মদিনের এই বিশেষ ছবি পোস্ট করতেই ধেয়ে এসেছে একাধিক মন্তব্য। কেউ আবার তাঁর ছবি দেখে লিখেছে বাংলার দীপিকা পাড়ুকোন। সকলেই তাঁকে জিগ্গেস করেছেন এমন তন্বী চেহারার রহস্য কি! ডান্স রিয়েলিটি শো ডান্স ডান্স-এর বিচারক ছিলেন তিনি দেবের সঙ্গে। তবে কাজের পাশাপাশি সোশ্যাল মিডিয়ায় থাকা অনুরাগীদের জন্য নিজের নানা মুহূর্ত শেয়ার করতেও ভোলেন না। এছাড়াও তাঁর রয়েছে একটি ইউটিউব চ্যানেল।
আরও পড়ুন – শো শেষ করে কোন প্রভাবশালী তৃণমূল নেতার বাড়িতে জমিয়ে আড্ডা দিয়েছেন অরিজিৎ?
প্রেমের মাসেই জন্মদিন অভিনেত্রীর। জন্মদিন পালন করতে যে বাইরে কোথাও যাচ্ছেন ট্রিপে সেই ইঙ্গিত তিনি আগেই দিয়েছিলেন। সঙ্গে অবশ্য প্রেমিক ফটোগ্রাফার আছেন কিনা সে বিষয়ে খোলসা করেননি। জন্মদিনের প্রাক মুহূর্তে সমুদ্রে নেমে কেক কাটলেন। সেই ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করে লিখলেন- ‘আমি ওয়াটার সাইন রাশি, মীনদের মরশুমে সকলকে স্বাগত’। মীন রাশি মনামীর। আর তাই জন্মদিনে এই কালো মনোকিনিতে তাঁকে যেন লাগছে ঠিক মৎসকন্যা। খোলা চুলে মেকআপ ছাড়া এই মনোকিনিতে খুবই সুন্দর দেখতে লাগছে মনামীকে। ছবি দেখে কে বলবে বয়স তাঁর ৪০ এর কোঠা ছুঁতে চলল। শরীরে কোথাও মেদ নেই, চামড়ায় ভাঁজ নেই বরং দিনের পর দিন যেন তাঁর গ্লো বাড়ছে আর কমছে বয়সের কাঁটা। এর জন্য অবশ্য কঠোর পরিশ্রমও করেন তিনি।