বিদেশি ব্যাঙ্ক থেকে কীভাবে ঢুকেছে টাকা কেষ্ট কন্যার কোম্পানিতে ? কার মাধ্যমে টাকা লেনদেন? সকল প্রশ্নেরই উত্তর খুঁজতে মরিয়া ইডি। বর্তমানে দিল্লিতে ইডি-র জেরা মুখে রয়েছেন বীরভূমের দোর্দণ্ডপ্রতাপ তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal)। সূত্রের খবর, তাঁর কাছ থেকে উঠে আসছে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। তবে শুধু কেষ্টই নন, কেন্দ্রীয় তদন্তকারী গোয়েন্দাদের নজরে অনুব্রত কন্যা সুকন্যা মণ্ডলের সম্পত্তিও। সূত্রের খবর, একাধিক বিদেশি ব্যাঙ্ক থেকে বিপুল অর্থ ঢুকেছে কেষ্ট কন্যার কোম্পানিতে। কিন্তু কীভাবে ঢুকেছে সেই অর্থ, কার মাধ্যমেই বা সেই অর্থের লেনদেন করা হত এই সকল প্রশ্নেরই উত্তর খুঁজতে মরিয়া ইডি।
উল্লেখ্য, বীরভূমের এই ‘বাঘ’-কে ম্যারাথন জেরা করছে ইডি। অভিযোগ, প্রোটেকশন মানি ছাড়াও গরু পাচারের উপর মাসে কমিশন নিতেন কেষ্ট। আর সেই টাকা জমা পড়ত ছায়াসঙ্গী সায়গল হোসেনের কাছে। কমিশনের টাকাতেই নাকি নিজের ও পরিবারের নামে রাইস মিল, জমি, বাড়ি কিনেছিলেন বীরভূমের এই তৃণমূল নেতা। ইডির দাবি, ২০১৫ থেকে ২০১৮ সালের মধ্যে কেষ্টর বিপুল সম্পত্তির বৃদ্ধি হয়েছে। প্রাক্তন ব্যাঙ্ক কর্মীকে ছ’কোটি টাকা কেন দিয়েছিলেন কেষ্ট? সেই হিসাবও চাইছে ইডি। এছাড়াও মলয় পিটের এনজিও-তেও বিনিয়োগ কেষ্টর। এমনকী পেট্রল পাম্প চালুর জন্যও অর্থ ব্যয় করেছিলেন তিনি। এমনটাই ইডি সূত্রে খবর। অনুব্রতর স্ত্রীর ক্যান্সার চিকিৎসার দিকেও নজর কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের। তবে ১৮ কোটি ফিক্সড ডিপোসিটের উৎস এখনও জানাতে পারেননি তিনি।
আরও পড়ুন – অনুব্রতর উপস্থিত যেমন ভোট হয়েছে এ বারও তাই হবে, মন্তব্য শতাব্দীর,
কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সূত্রে খবর, সুকন্যার মোট দু’টি কোম্পানি নাম জানতে পেরেছে ইডি। একটি হল নীড় ডেভেলপার প্রাইভেট লিমিটেড এবং অপরটি এএনএম (ANM) অ্যাগ্রোকেম ফুডস প্রাইভেট লিমিটেড। এই দুই কোম্পানির অ্যাকাউন্টে বিদেশি বিপুল পরিমাণ অর্থ স্থানান্তরিত হয়েছে বলে সন্দেহ করছেন ইডি আধিকারিকরা। এই সকল চুক্তির ব্যাপারে অনুব্রত মণ্ডলকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে ইডি।