গরম কমবে না! দক্ষিণবঙ্গে কবে বর্ষা প্রবেশ করতে পারে? কি বলছে হাওয়া অফিস? সোমবার পর্যন্ত অস্বস্তি জারি থাকবে দক্ষিণবঙ্গে। আষাঢ়ের শুরুতেই বর্ষা! তেমনটাই জানাচ্ছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর। আবহবিদেরা জানিয়েছেন, সোম থেকে বুধবারের মধ্যে দক্ষিণবঙ্গে বর্ষা প্রবেশের সম্ভাবনা রয়েছে। সোমবার থেকে তাপমাত্রাও ২-৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমতে পারে। তবে তার আগে রবিবার পর্যন্ত গরম এবং অস্বস্তির হাত থেকে রেহাই নেই। পশ্চিমের জেলাগুলিতে তাপপ্রবাহের সতর্কতাও থাকছে বলে জানিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর।
উত্তরবঙ্গে পাহাড়-সহ ৫ জেলায় ইতিমধ্যেই প্রবেশ করেছে বর্ষা। যদিও ৩ জেলা,দুই দিনাজপুর এবং মালদহে এখনও তাপপ্রবাহের সতর্কতা জারি রয়েছে।দক্ষিণবঙ্গে সরকারি ভাবে বর্ষা প্রবেশের সময় ৮ জুন। যদিও সেই দিন পেরিয়ে গেলেও দক্ষিণবঙ্গ এখনও বঞ্চিত। উত্তরে প্রবেশের পর থেকে মৌসুমি বায়ু মালদহের উপরি অংশে আটকে রয়েছে।দক্ষিণবঙ্গে শুক্র এবং শনিবার বৃষ্টির সম্ভাবনা কম।তবে ১৮ থেকে ২০ জুন, অর্থাৎ রবি থেকে মঙ্গলবার দক্ষিণবঙ্গে বিক্ষিপ্ত ভাবে বৃষ্টির সম্ভাবনা বাড়তে পারে। পাশাপাশি, রবিবার পর্যন্ত পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলিতে তাপপ্রবাহের সম্ভাবনা রয়েছে।শুক্র থেকে রবিবার পুরুলিয়া, ঝাড়গ্রাম,দুই বর্ধমান,পশ্চিম,মেদিনীপুর,নদিয়া,মু্র্শিদাবাদ, বাঁকুড়া,বীরভূমে তাপপ্রবাহ হতে পারে।পশ্চিম মেদিনীপুর,পশ্চিম বর্ধমান,পুরুলিয়া,ঝাড়গ্রামে সোমবারও তাপপ্রবাহের পূর্বাভাস রয়েছে। যদিও তার পাশাপাশি এই জেলাগুলির দু’-এক জায়গায় বজ্রবিদ্যুৎ-সহ ঝড়বৃষ্টির সম্ভাবনাও রয়েছে।তার পর সার্বিক ভাবে তাপমাত্রা কিছুটা কমবে বলে মনে করা হচ্ছে। সোমবারের পর কলকাতার তাপমাত্রা কমতে পারে।মঙ্গলবার থেকে দক্ষিণের প্রায় সব জেলাতেই বৃষ্টির সম্ভাবনা।
শুক্রবার থেকে রবিবার তাপপ্রবাহের সম্ভাবনা রয়েছে উত্তরের তিন জেলাতেওদুই দিনাজপুর এবং মালদহে তাপপ্রবাহ হতে পারে। বাকি জেলা দার্জিলিং,কালিম্পং,জলপাইগুড়ি,কোচবিহার, আলিপুরদুয়ারে শুক্রবার থেকে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে।তবে গোটা জেলা জুড়ে বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই।দু’-এক জায়গায় হতে পারে ভারী বৃষ্টি।
আরও পড়ুন – ভিডিয়ো প্রকাশ করে কেন্দ্রকে বিশেষ বার্তা কুস্তিগিরদের,
হাওয়া অফিস জানিয়েছে,উত্তর পশ্চিম দিক থেকে আসা গরম হাওয়ার কারণে পশ্চিমের জেলাগুলিতে তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেয়েছে। বঙ্গোপসাগর থেকে আসা জলীয়বাষ্পই গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গে প্যাচপ্যাচে গরম ও অস্বস্তিকর আবহাওয়ার কারণ।তবে আবহবিদদের মতে,প্রাক্বর্ষার সময়ে এত দীর্ঘমেয়াদি তাপপ্রবাহ কিছুটা বেনজিরই।তার ফলই ভুগছে বঙ্গবাসী। হাঁসফাঁস গরমে কাবু সাধারণ মানুষ।দিনের বেলা রাস্তায় বেরিয়ে অসুস্থ হওয়ার ঘটনা আকছাড় ঘটছে।তার মধ্যে ভোগান্তি বাড়িয়েছে লোডশেডিং।শহর থেকে গ্রামে প্রায় একই ছবি।