বর্ষায় একটা উইকএন্ড কাটাতে পারেন ওড়িশার ভার্জিন বিচে, বৃষ্টির দিনে সমুদ্র সৈকতে বেড়াতে যেতে কার না ভাল লাগে। উইকএন্ড এলেই অনেকেই পাড়ি দেন দিঘা, মন্দারমণি, তাজপুরে। আর যদি হাতে উইকএন্ডের চেয়ে একদিন বেশি সময় থাকে, তাহলে কেটে নেন পুরীর ট্রেনের টিকিট। কিন্তু পুরী যেতে গেলেও হাতে চার থেকে পাঁচ দিন প্রয়োজন। কিন্তু ওড়িশার পুরী ছাড়াও এমন অনেক সমুদ্র সৈকত রয়েছে, যা হতে পারে আপনার উইকএন্ড ডেস্টিনেশন। আর সেই তালিকায় রয়েছে ডুবলাগরি।
ওড়িশার ইকো-ট্যুরিজমের অংশ হওয়ায় ডুবলাগরি ও বাগদায় থাকার জায়গার অভাব নেই। বরং, এখানে রয়েছে ক্যাম্পিংয়ের সুযোগ। সমুদ্র সৈকতের ধারেই রাত কাটাতে পারবেন সেখানে। এখানে থাকা-খাওয়া নিয়ে জনপ্রতি ১,৩০০ টাকা খরচ। ক্যাম্পের পাশাপাশি কটেজও রয়েছে। সেখানেও থাকা-খাওয়ার খরচ মোটামুটি একই। তাই এই বর্ষায় আপনি সহজেই প্ল্যান করতে পারেন ডুবলাগরি যাওয়ার।
বালেশ্বরের কাছে অবস্থিত ডুবলাগরি সমুদ্র সৈকত।কলকাতা থেকে লং ড্রাইভে হোক বা ট্রেনে চেপে বালেশ্বর,উইকএন্ডে অনায়াসে ঘুরে নিতে পারবেন ডুবলাগরি সমুদ্র সৈকত।১৬ নং জাতীয় সড়ক ধরে কলকাতা থেকে পৌঁছে যেতে পারেন ডুবলাগরি।এছাড়া বালেশ্বর স্টেশনে নেমে গাড়ি ভাড়া করে চলে যেতে পারেন ডুবলাগরি।বালেশ্বর স্টেশনে থেকে ডুবলাগরির দূরত্ব ২৫ কিলোমিটার।আর কলকাতা থেকে সড়কপথে ডুবলাগরির দূরত্ব প্রায় ২৪৫ কিলোমিটার।প্রায় সাড়ে ৫ ঘণ্টা ড্রাইভ করতে হবে ডুবলাগরি পৌঁছানোর জন্য।
ওড়িশার ইকো-ট্যুরিজমের অংশ ডুবলাগরি।নির্জন সমুদ্র সৈকত, ঝাউবনের জঙ্গল,লাল কাঁকড়া নিয়ে গড়ে উঠেছে ডুবলাগরি সমুদ্র সৈকত।ডুবলাগরির ঝাউবনের জঙ্গলে ঘুরতে ঘুরতে দেখা মিলতে পারে বিভিন্ন ধরনের পাখির।নিরিবিলিতে কিছুটা সময় সমুদ্রতটে কাটানোর আদর্শ জায়গা এই ডুবলাগরি।ডুবলাগরির সমুদ্রের পাড়ে বসে দেখতে পারেন সূর্যোদয় ও সূর্যাস্ত।এই দুটো জিনিস ডুবলাগরি এসে মিস করলে চলবে না।
আরও পড়ুন – পর্ষদ থেকে উধাও নিয়োগ সংক্রান্ত জরুরি ফাইল, ফাইল চেয়ে পাঠিয়েছিল সিবিআই
ডুবলাগরি ওড়িশার ভার্জিন সমুদ্র সৈকত।এখানে খুব বেশি পর্যটকদের আনাগোনা নেই।উইকএন্ডগুলোতেই মূলত বাঙালি পর্যটকদের ভিড় হয় এখানে।ডুবলাগরির পাশেই রয়েছে আরও একটি সমুদ্র সৈকত। বাগদা সমুদ্র সৈকত।ডুবলাগরি থেকে ঢিল ছোঁড়া দূরত্বে বাগদা।তাই ডুবলাগরির সঙ্গে বাগদার খুব একটা তফাৎ নেই।ডুবলাগরির খুব কাছেই রয়েছে কাসাফল মোহনা। সেখানেও ঘুরতে যেতে পারেন। সেখানে গেলে টাটকা মাছ, সামুদ্রিক কাঁকড়া পেতে পারেন।