SSKM-এ অনীহা, কালীঘাটের কাকুর পর এবার তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণর, বড়ঞার তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহার জামিনের আবেদন গ্রাহ্য হল না। জীবনকৃষ্ণ সাহাকে ২৫ অগস্ট পর্যন্ত জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আলিপুর সিবিআই স্পেশাল আদালত। এদিন আদালতে ঢোকার সময় চাকরিপ্রার্থীদের হুমকি নিয়ে বিধায়ককে প্রশ্ন করা বলে জীবনকৃষ্ণ সাহা বলেন, “চাকরির ঘটনা কত সালের? ২০১৬ সালের। তখন কি আমি ছিলাম? আমি কোনও হুমকি দিইনি।” তাঁর দাবি, এসব ভুল কথা। কোনও প্রমাণ নেই। তিনি ২০২১ সালের আগে কোনও পদেই ছিলেন না বলে দাবি করেন। তার আগে একজন সাধারণ নাগরিক ছিলেন বলেও দাবি করেন তিনি।
এদিন জীবনকৃষ্ণ আদালতে বলেন, তাঁর কোনও চিকিৎসা হচ্ছে না। তাঁকে আদালতে আসতে হলে ওষুধ খেয়ে আসতে হয়। যে কোনও উপায়ে তাঁকে জামিন দেওয়া হোক। এদিন জীবনকৃষ্ণের আইনজীবী এসএসকেএমের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ তোলেন। দাবি করেন, এসএসকেএমে গেলে চিকিৎসকরা খারাপ ব্যবহার করেন। কোনও চিকিৎসা হয় না। তাঁর মক্কেলের হাঁটুতে জ্বালা করছে। ওষুধ খেয়ে আসতে হচ্ছে। যদিও পাবলিক প্রসিকিউটর এই জামিনের বিরোধিতা করেন। সবদিক বিচার বিবেচনা করে বিচারক জীবনকৃষ্ণ সাহাকে জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন। একইসঙ্গে এদিন আরও ৭ শিক্ষককেও আদালতে তোলা হয়। তাঁদেরও জেল হেফাজত দেওয়া হয়েছে।
প্রসঙ্গত, এসএসকেএম হাসপাতাল নিয়ে এর আগে কালীঘাটের কাকু ওরফে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের অনীহাও দেখা গিয়েছে। তিনিও তাঁর চিকিৎসা করাতে চাননি এখানে। অথচ কলকাতা হাইকোর্ট একটি মামলার শুনানি চলাকালীন বলেছিল, এই হাসপাতাল আশীর্বাদ। তাহলে কেন নিয়োগ-মামলায় গ্রেফতার হওয়ার পরই এসএসকেএম নিয়ে প্রশ্ন শোনা যাচ্ছে?
আরও পড়ুন – স্বপ্নদীপের মৃত্যুর ঘটনায় আটক অভিযুক্ত সৌরভ ,
এদিন আদালতে সওয়ালজবাব পর্বে জীবনকৃষ্ণ সাহার আইনজীবী বলেন, “মেডিক্যাল নিয়ে যা হচ্ছে। এসএসকেএম হাসপাতালে প্রেসক্রিপশন ধরিয়ে দিয়ে বলে বাইরে থেকে ওষুধ কিনে নিন। এসএসকেএমে আমাদের চিকিৎসা হবে না। জোকা ইএসআইয়ে চিকিৎসা হোক বা কেন্দ্রীয় কোনও হাসপাতালে হোক চিকিৎসা।”