‘এত নোংরামি বাংলার নির্বাচনের ইতিহাসে হয়নি’, দাবি প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরীর

‘এত নোংরামি বাংলার নির্বাচনের ইতিহাসে হয়নি’, দাবি প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরীর । পঞ্চায়েত নির্বাচনে এরকম ‘নোংরামি’ বাংলার ইতিহাসে দেখা যায়নি। রক্তারক্তি, চূড়ান্ত অশান্তির ভোট চিত্র দেখে প্রতিক্রিয়া প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরীর। এই ধরনের পঞ্চায়েত নির্বাচন বাতিল করে দেওয়া উচিত বলে মনে করছেন তিনি। অধীর এদিন বলেন, ‘ভোট করার দরকার কি ছিল? আমরা তো আগেই বলেছিলাম লুঠ হবে। আমাদের কথাই প্রমাণ হল। নব জোয়ার মানে নব লুঠের ব্যবস্থা করা হল।’ এইরকম ভোটের কোনও যৌক্তিকতা নেই বলেই জানান তিনি।

 

 

 

 

 

 

এদিন নদিয়া জেলায় এক তৃণমূল সমর্থককে কুপিয়ে খুন করার অভিযোগ ওঠে। কল্যাণদহে ধারালো অস্ত্র দিয়ে তৃণমূল কর্মীদের উপর হামলা চালানো হয় বলে অভিযোগ ওঠে। সেই ঘটনায় ১১ জন তৃণমূল কর্মী গুরুতর আহত হন। এই ঘটনায় অভিযোগের আঙুল ওঠে কংগ্রেসের দিকে। যদিও অভিযোগ মেনে নেননি প্রদেশ সভাপতি। তাঁর কথায়, কংগ্রেসের এতো শক্তি থাকলে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জন্য তাঁরা আবেদন করতো না।

 

 

 

পাশাপাশি, কেন্দ্রীয় বাহিনীর ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি। অধীরের কথায়, তৃণমূল এবং বিজেপি জোট করে কেন্দ্রীয় বাহিনীকে সঠিক ভাবে নির্বাচনে কাজে লাগায় নি। অধীর বলেন, ‘ দিল্লির বিজেপির সঙ্গে বাংলার দিদির সুন্দর আন্ডারস্ট্যান্ডিং। তাই কেন্দ্রীয় বাহিনী এল না, আসার নামে গড়িমসি, এসে তারা বসে আছে।’

 

 

 

 

 

কেন্দ্রীয় বাহিনীকে স্কুলে স্কুলে বসিয়ে রাখা হয়েছে বলে দাবি করেন অধীর চৌধুরী। তাঁর কথায়, কেন্দ্রীয় বাহিনী শেষ মুহূর্তে এলেও তাঁদেরকে পর্যাপ্ত পরিমাণে কাজে লাগানো হয়নি। রাজ্য নির্বাচন কমিশননের ভূমিকা নিয়েও চূড়ান্ত সমালোচনা করেন অধীর।

 

 

 

 

আরও পড়ুন – গুলিবিদ্ধ যুবকের মৃত্যু হাসপাতালে, কোচবিহারের দিনহাটায় ভোটের লাইনে জখম হয়েছিলেন,

 

 

 

 

 

চলতি পঞ্চায়েত নির্বাচনে কেন্দ্রীয় বাহিনী এবং রাজ্য পুলিশের যৌথ উদ্যোগে নির্বাচন সংগঠিত করার কথা ছিল। ধাপে ধাপে কেন্দ্রীয় বাহিনী আসে রাজ্যে। প্রায় সাড়ে তিনশো কোম্পানি একেবারে শেষ মুহূর্তে এসে পৌঁছয় বলে জানা যায়। সেক্ষেত্রে এভাবে কেন্দ্রীয় বাহিনীকে কার্যত বসিয়ে রেখে ভোট পরিচালনা করে কী লাভ হল তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি।