মুসলিম জনসংখ্যা সম্পর্কিত প্রশ্নের উত্তর দিল কেন্দ্র, কোন বিষয় উল্লেখ করলেন ? ফের আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে দেশের মুসলিম জনসংখ্য়া বৃদ্ধির হার। লোকসভায় তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী মালা রায় এনিয়ে একটি প্রশ্ন করেছিলেন। সেই প্রশ্নের লিখিত উত্তর দিলেন কেন্দ্রীয় সংখ্যালঘু বিষয়ক মন্ত্রী স্মৃতি ইরান। তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী মালা রায় ভারতের মুসলিম জনসংখ্যা সম্পর্কিত বিষয়গুলি জানতে চান। এছাড়াও তিনি জানতে চেয়েছিলেন কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে পসমন্দা মুসলমানদের জনসংখ্যার তথ্যের কোনও রেকর্ড রয়েছে কিনা। দেশে এই সম্প্রদায়ের আর্থসামাজিক অবস্থাই বা কীরকম সেসম্পর্কিত তথ্যও জানতে চান তিনি। তবে এই বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য দিতে পারেননি স্মৃতি।
জাতি সংঘের হিসাব অনুসারে এ বছরের মাঝামাঝি বৃহত্তম জনগোষ্ঠীর বিচারে চিনকে ছাপিয়ে যাবে ভারত। বিশ্বের বৃহত্তম জনগোষ্ঠীর দেশ হবে ভারত। অবশ্য কিছু বিশ্লেষকের ধারণা, ইতিমধ্যেই চিনের জনসংখ্যাকে টপেক গিয়েছে আমাদের দেশ। চলতি বছরের শুরুতে চিনের জাতীয় পরিসংখ্যান ব্যুরো জানিয়েছে, ২০২২ সালের শেষে দেশটির জনসংখ্যা কমে প্রায় ৮ লাখ, দাঁড়ায় ১৪১ কোটি ২০ লাখে। চলতি বছর তথা ২০২৩ সালে ভারতের আনুমানিক জনসংখ্যা প্রায় ১৩৯ কোটি।
স্মৃতি ইরানির এই তথ্য পেশের পর শুরু হয়েছে বিতর্ক। ভারতীয় মুসলমানদের জনসংখ্যা নিয়ে লোকসভায় স্মৃতি ইরানির মন্তব্যের প্রেক্ষিতে ওয়াইসি বলেন, “মুসলিম জনসংখ্যা ২০ কোটির বেশি হবে না। ডানপন্থী দলগুলো বিশ্বাস করে,আগামী কয়েক বছরের মধ্যে সংখ্যাগরিষ্ঠ হবে ভারতে মুসলিমরা । তাঁরা মৌলিক গণিত বোঝে না। তবে আশা করি তারা অন্তত মোদি সরকারকে বিশ্বাস করবে।” পাল্টা টুইটে ওয়াইসিকে আক্রমণ করেছেন স্মৃতি ইরানি।
স্মৃতি উল্লেখ করেছেন, ২০২৩ সালে দেশে আনুমানিক মুসলিম জনসংখ্য়া দাঁড়িয়েছে প্রায় ১৯.৭ কোটি। চিঠিতে স্মৃতি স্পষ্ট করেছেন, ২০১১ সালের আদমশুমারির তথ্যের ভিত্তিতে, মুসলমানরা মোট জনসংখ্যার ১৪.২ শতাংশ ছিল। অনুমান করা হচ্ছে ২০২৩ সালের মধ্যে মুসলিম সম্প্রদায়ের জনসংখ্য়া পৌঁছবে ১৯.৭ কোটিতে যা ২০১১ সালের তুলনায় ২.৫ কোটি বেশি। ২০১১ সালের আদমশুমারি রিপোর্ট অনুসারে, ভারতে মুসলিম জনসংখ্যা ছিল ১৭.২ কোটি। ২০২৩ সালে ভারতের আনুমানিক জনসংখ্যা হবে ১৩৮.৮ কোটি। ১৪.২ শতাংশ মুসলিম জনসংখ্যার হিসেব ধরলে ২০২৩ সালে প্রায় ১৯.৭ কোটি দাঁড়াবে মুসলমানদের জনসংখ্যা। সাত বছর বা তার বেশি বয়সী মুসলমানদের সাক্ষরতার হার ৭৭.৭ শতাংশ এবং সব বয়সের জন্য লেবার ফোর্স পার্টিসিপেশন রেট ৩৫.১ শতাংশে দাঁড়িয়েছে বলে জানিয়েছেন স্মৃতি ইরানি।
আরও পড়ুন – চলতি সপ্তাহেই তাণ্ডব, ধেয়ে আসছে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় ‘ডকসুরি’, কবে তা আঘাত হানতে…
জনসংখ্যা বিষয়ক তথ্য ছাড়াও সাক্ষরতার হার, শ্রমশক্তির অংশগ্রহণ এবং আবাসন, বাথরুম এবং জলের মতো প্রয়োজনীয় সুযোগ-সুবিধা ভোক্তাদের সম্পর্কেও বিশদ বিবরণ দিয়েছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। তবে পসমন্দা মুসলমানদের জনসংখ্যার তথ্যের কোনও রেকর্ড আছে কিনা এবং দেশে এই সম্প্রদায়ের আর্থসামাজিক অবস্থার বিষয়ে কোনও বিস্তারিত তথ্য দিতে পারেননি স্মৃতি ইরানি।