ডিএ-র দাবিতে ৪ মে নবান্ন অভিযান , ডাক দিয়েছে কো-অর্ডিনেশন কমিটি। মহার্ঘ ভাতা (ডিএ) নিয়ে রাজ্য সরকারি কর্মচারী সংগঠনগুলির লাগাতার আন্দোলন চলছেই। এ বার ডিএ-র দাবিতে সরাসরি নবান্ন অভিযানের ডাক দিল কো-অর্ডিনেশন কমিটি। গত কয়েক মাস ধরে একঝাঁক সরকারি কর্মচারী সংগঠনের সঙ্গে হাত মিলিয়ে যৌথ মঞ্চ গড়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের বিরুদ্ধে ডিএ-র দাবিতে একের পর এক আন্দোলন করেছে কো-অর্ডিনেশন কমিটি। এমনকি ডিএ পেতে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিল তারা।
আগামী ২৭ এপ্রিল ব্লকে ব্লকে ডিএ-র দাবিতে বাইক র্যালি করবেন কো-অর্ডিনেশন কমিটির সদস্যেরা। ২৮-২৯ তারিখ সব জেলার সদর দফতরে ওই একই দাবিতে দু’দিন ব্যাপী ধর্না অবস্থানে বসবেন তাঁরা। নিজেদের নবান্ন অভিযান যে কেবল ডিএ-র দাবিতে হচ্ছে, তা মানতে নারাজ কো-অর্ডিনেশন কমিটির নেতারা। কো-অর্ডিনেশন কমিটির তরফে বিশ্বজিৎ গুপ্ত চৌধুরী বলেন, ‘‘আমরা যে কেবল মাত্র ডিএ-র দাবিতে এই আন্দোলন করছি, এমনটা নয়। আমাদের অন্যতম দাবিগুলির মধ্যে রয়েছে সরকারি শূন্যপদে নিয়োগ, নিয়োগের ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা, ঠিকা কর্মীদের স্থায়ী পদে নিয়োগের মত বিষয়গুলিও। এই সব দাবি যত দিন পূরণ না হচ্ছে তত দিন আমাদের আন্দোলন চলবে।’’
এ ছাড়াও কো-অর্ডিনেশন কমিটির নেতৃত্বে যৌথ মঞ্চের নেতারা রাজ্যের ট্রেজারিতে প্রতি মাসে ৩৬ টাকা করে ফেরত দিয়েও প্রতীকী প্রতিবাদ জানাচ্ছেন। যৌথ মঞ্চের নেতাদের দাবি, যে হেতু রাজ্য সরকারের কাছে তাঁদের ৩৬ শতাংশ বকেয়া ডিএ বাকি। রাজ্য সরকারের মতে, তাদের আর্থিক অবস্থা ঠিক না হওয়ায় তারা ডিএ দিতে পারছে না। তাই তাঁরা ট্রেজারিতে ৩৬ টাকা করে অনুদান দিয়ে রাজ্য সরকারের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাচ্ছেন।
আরও পড়ুন – জোটে কংগ্রেসের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন, উত্তরে কি বললেন মমতা?
আদালতের নির্দেশেই গত শুক্রবার নবান্নে সরকারি আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠকে বসেছিল তারা। কিন্তু সেই বৈঠকও নিষ্ফল হয়েছে। তাই এ বার রাজ্য সরকারের সদর দফতর নবান্ন অভিযানের ডাক দিয়েছে কো-অর্ডিনেশন কমিটি। মে মাসের ৪ তারিখ দুপুর আড়াইটে নাগাদ এই অভিযান হবে। যদিও, এই কর্মসূচির আগে জেলাভিত্তিক বেশ কিছু কর্মসূচি রয়েছে কো-অর্ডিনেশন কমিটির। সংগঠনের নেতৃত্বের একাংশের আশঙ্কা, নবান্ন অভিযান করলে রাজ্য সরকার তাঁদের বিরুদ্ধে কড়া অবস্থান নিতে পারে।