চিকিৎসকদের জন্য বড় নির্দেশ নবান্নের, মদন মিত্রের তোপের পরেই এই পদক্ষেপ! সরকারি হাসপাতাল ঘিরে প্রায়শই একাধিক অভিযোগ ওঠে রোগী অথবা রোগীর পরিবারের তরফে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যায়, সেই অভিযোগের তীব্রতা বাড়ে রাতের দিকে। কখনও চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ, তো কখনও পর্যাপ্ত বেড না থাকার অভিযোগ। এর মাঝে রাতের বেলায় হাসপাতালগুলিতে স্টাফের সংখ্যা সকালের তুলনায় কম থাকা নিয়েও পরিষেবা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। সম্প্রতি, তেমনই অভিযোগ তুলতে দেখা গিয়েছিল শাসকশিবিরের এক বিধায়কেও।
সূত্রের খবর অনুযায়ী, দিন কয়েক আগে মেডিক্যাল কলেজগুলির কর্তাদের রাতের পরিষেবা নিয়ে ব্যাপক ভর্ৎসনা করেন রাজ্যের স্বাস্থ্য সচিব। তারপর হঠাৎ একদিন রাতে ফোন করে খোঁজ নেন সচিব নিজে। তখনই সিদ্ধান্ত হয়ে যায়, নাইট রোস্টার এবার থেকে সরকারের কাছে পাঠাতে হবে। সূত্রের খবর, সেইমতো রোজ দুপুরের মধ্যে রাতের ডিউটির চিকিৎসকদের রোস্টারের এক্সেল ফাইল পাঠানো শুরু করেছে মেডিক্যাল কলেজগুলি।
কলকাতার এক বড় মেডিক্যাল কলেজের এক পদস্থ কর্তা বলেন, ‘‘ইমার্জেন্সি, মেডিসিন, সার্জারি, গাইনি, অর্থো ও শিশু প্রভৃতি বিভাগের নাইটের চিকিৎসকদের তালিকা চাওয়া হয়েছে।এছাড়া, যেসব মেডিক্যাল কলেজে ট্রমা সেন্টার আছে,অর্থাৎ,আরজিকর এবং এসএসকেএম হাসপাতাল সেখানকার রাতের চিকিৎসকদের নাম,ফোন নম্বরও চাওয়া হয়েছে।নাইট উিউটিতে একজন সহকারী সুপার ও একজন ডেপুটি নার্সিং সুপারের থাকাও বাধ্যতামূলক।গোটা ব্যবস্থাপনাটির দিকে লক্ষ্য রাখতে বলা হয়েছে অ্যাডিশনাল সুপারদের।’’
সম্প্রতি রোগী ভর্তি করাতে গিয়ে রাজ্যের অন্যতম সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল থেকে ফিরতে হয় প্রাক্তন মন্ত্রীকে।তারপর সেখানে দাঁড়িয়ে কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধাচরণ করেন তিনি।তাঁর অভিযোগ ছিল,রাতে ওই রোগীকে ভর্তি করানোর জন্য তিনি হাসপাতালের বহু মানুষকে ফোন করলেও কর্তৃপক্ষরা ফোন ধরেননি।এমনকি,স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী ও মুখ্যমন্ত্রীও তাঁকে এই কথাই বলেন বলে জানান তিনি।তারপরেই এসব হাসপাতালকে বয়কট করার ডাক দিয়েছিলেন মদন মিত্র।
আরও পড়ুন – ‘কাকু’-র বাড়িতে আসতেন অভিষেক, দাবি ধৃত সুজয়কৃষ্ণের দাদা অজয়কৃষ্ণের,
সম্প্রতি,মদন মিত্র এসএসকেএম হাসপাতালের বিরুদ্ধে একরাশ অভিযোগ তুলেছিলেন।যা নিয়ে বেশ জলঘোলাও হয়।তবে এসবের মাঝেই রাজ্যের মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালগুলির সঙ্গে বৈঠক করেন স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণ স্বরূপ নিগম।সেই বৈঠকে তিনি নির্দেশ দেন,এবার থেকে রাতে কোন কোন চিকিৎসক ডিউটি রয়েছেন,তার তালিকা পাঠাতে হবে নবান্নে।তালিকায় থাকবে তাঁদের নাম,পদাধিকার ও মোবাইল নম্বর।