জামিন অযোগ্য ধারায় FIR তিলজলার ওসি-র বিরুদ্ধে , জাতীয় শিশু সুরক্ষা কমিশনের চেয়ারপার্সনকে মারধরের অভিযোগ , শিশুর ক্ষত-বিক্ষত দেহ উদ্ধারের ঘটনাকে কেন্দ্র করে কয়েকদিন আগেই উত্তপ্ত হয় কলকাতার তিলজলা। আর সেই শিশুর পরিবারের সঙ্গে কথা বলতে এসে হেনস্থার শিকার হতে হয়েছে বলে অভিযোগ তুলল জাতীয় শিশু সুরক্ষা কমিশন। শুক্রবার কলকাতায় আসার পর থেকে একের পর এক অভিযোগ সামনে এনেছেন কমিশনের চেয়ারপার্সন প্রিয়াঙ্ক কানুনগো। আর এবার সেই অভিযোগেই এফআইআর দায়ের হল খোদ ওসি-র বিরুদ্ধে। তিলজলা থানার ওসি বিশ্বক মুখোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য ধারায় এফআইআর দায়ের হয়েছে। কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ তদন্ত করবে বলে জানা গিয়েছে। লালবাজার সূত্রের খবর, আপাতত ছুটিতে আছেন ওসি।
ঘটনার পর রাতেই প্রিয়াঙ্ক কানুনগোর সঙ্গে হোটেলে দেখা করতে যান কলকাতা পুলিশের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা। এরপরই অভিযোগ দায়ের করেন তিনি। শুক্রবার টুইটে ওসি বিশ্বক মুখোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে সরাসরি অভিযোগ জানিয়েছিলেন তিনি। তাঁর আরও অভিযোগ, মৃত শিশুর বাড়িতে গেলেও তাঁদের কথা বলতে বাধা দেওয়া হয়। রাজ্য শিশু সুরক্ষা কমিশনের তরফ থেকে এসে তাঁদের বের করে দেওয়া হয় বলেও অভিযোগ। যদিও রাজ্য শিশু সুরক্ষা কমিশন এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
আরও পড়ুন – তিহাড়ে বন্দি অনুব্রতকে নীলকণ্ঠের সঙ্গে তুলনা বীরভূমের তৃণমূল নেতার
প্রিয়াঙ্ক কানুনগোর অভিযোগ, শুক্রবার তিনি ও কমিশের আর এক সদস্য সেক্রেটারি রুপালি বন্দ্যোপাধ্যায় যখন মৃত শিশুর পরিবারের সঙ্গে কথা বলছিলেন, তা গোপন ক্যামেরায় রেকর্ড করা হয়। তিনি বাধা দিলে তাঁকে ৭-৮ জন লোক মিলে ঘিরে ফেলে বলে অভিযোগ। এরপর ওসি নিজেও তাঁকে মারধর করেছেন বলে দাবি প্রিয়াঙ্ক কানুনগোর। তিনি বলেন, অফিসার নিজে মারধর করেন। কোনও রকমে পালিয়ে প্রাণে বেঁচেছি। তাঁর দাবি, পুলিশের গাফিলতির কথা সামনে আসছিল বলেই তাঁদের এভাবে মারধর করা হয়েছে। প্রিয়াঙ্ক কানুনগো আরও বলেন, এরাজ্যে কেউ অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানালে এভাবেই মারধর করা হয়। ওসি-র বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩২৩, ৩৫৩, ৩৪১, ৫০৬ ও ৩৪ নম্বর ধারায় মামলা হয়েছে।