ছবি দেখিয়ে আদালতে জামিনের আর্জি নওশাদের ,৩০৭ ধারা দেওয়া হল কেন?নওশাদের তরফের আইনজীবী এদিন শুরুতেই বলেন, ‘ওঁর সোশ্যাল স্টেটাস একটু দেখুন। উনি একজন নির্বাচিত বিধায়ক। কোনও উগ্রপন্থী নন।’
গত ২১ জানুয়ারি গ্রেফতার হন আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকী (Naushad Siddiqi)। এখনও পর্যন্ত ছাড়া পাননি তিনি। তাঁর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা হয়েছে বলে সরব হয়েছেন তাঁর অনুগামীরা। একাধিক ধারায় মামলা হয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। হেয়ার স্ট্রিট থানার যে মামলায় নওশাদ গ্রেফতার হয়েছিলেন, সেই মামলায় এবার জামিনের আর্জি জানালেন বিধায়ক। বুধবার ব্যাঙ্কশাল কোর্টে সেই মামলার শুনানিতে নওশাদের আইনজীবী দাবি করেন, বাজেট অধিবেশন শুরু হয়েছে, তাই বিধানসভায় বিধায়কের উপস্থিতি জরুরি। পাশাপাশি, কেন ৩০৭ ধারায় (খুনের চেষ্টা) নওশাদের বিরুদ্ধে মামলা হল, তা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন আইনজীবী।
নওশাদের তরফের আইনজীবী এদিন শুরুতেই বলেন, ‘ওঁর সোশ্যাল স্টেটাস একটু দেখুন। উনি একজন নির্বাচিত বিধায়ক। কোনও উগ্রপন্থী নন। ওই দিন কোনও বেআইনি জমায়েত হয়নি। মিটিংয়ের অনুমতি আগে থেকেই ছিল। বিধানসভায় বাজেট অধিবেশন শুরু হচ্ছে। একজন বিধায়ক হিসেবে , এলাকার উন্নয়নের স্বার্থে ওঁর অধিবেশনে উপস্থিত থাকা খুবই জরুরি।’
এরপরেই বেশ কিছু ছবি প্রমাণ হিসেবে আদালতের সামনে তুলে ধরেন আইনজীবী। তাঁর দাবি, ছবিতে কারা হেলমেট পরে আছে, সেটা স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে, কারা মারছে সেটাও দেখা যাচ্ছে। নওশাদের তরফের আইনজীবীরা প্রশ্ন তোলেন, তাহলে কীভাবে ৩০৭ ধারায় মামলা হয়? আইনজীবী আরও বলেন, ‘কোনও উদ্দেশ্য ছিল না।’ ৩০৭ ধারার ওই মামলায় বিধায়কের আর্থিক লেনদেন দেখার জন্য পুলিশ হেফাজতে চেয়েছে নওশাদকে। নির্দিষ্টভাবে নওশাদের কী ভূমিকা তা স্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়নি বলে দাবি করেই তাঁর জামিনের আর্জি জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন- ১০ ফেব্রুয়ারি শিলিগুড়ি যাচ্ছেন অভিষেক বন্দোপাধ্যায়
পাল্টা সরকারি আইনজীবী বলেন, ‘সেদিনের জমায়েতের কোনও অনুমতি ছিল না। বেআইনি জমায়েতের ক্ষেত্রে সবসময় কমন ইন্টেনশন থাকার দরকার হয় না।’ এরপরেই বিচারকের সামনে কেস ডায়েরি পেশ করে সরকারি আইনজীবী বলেন, ‘পেনড্রাইভে সিসিটিভি ফুটেজ আছে। ১৪ জন পুলিশ আহত হয়েছেন। তাঁদের মেডিক্যাল রিপোর্ট আছে।’ সরকারি আইনজীবীর দাবি, ৩০৭ ধারার মামলার জন্য সবসময় আঘাত থাকা জরুরি নয়। তিনি বলেন, উনি বিধায়ক। আইন রচনার দায়িত্ব যাঁদের উপরে তাঁরাই আইনভঙ্গ করছেন। আর্থিক লেনদেন সংক্রান্ত কী কী তথ্য পাওয়া গিয়েছে, তা কেস ডায়েরিতে উল্লেখ আছে বলেও জানিয়েছেন সরকারি আইনজীবী। তদন্তের স্বার্থে সে বিষয়গুলি কোর্টরুমে উল্লেখ করছেন না বলেও জানান তিনি।