গাড়ি দুর্ঘটনা নিয়ে মুখ খুললেন নওশাদ , ‘আমি টার্গেটে রয়েছি…’, আতঙ্কে নওশাদ,বিধানসভায় ছিল মিটিং। সেই কারণে বাড়ি থেকে রওনা দিয়েছিলেন ভাঙড়ের বিধায়ক তথা আইএসএফ নেতা নওশাদ সিদ্দিকি। সেই মোতাবেক হাওড়ার কোনা এক্সপ্রেওয়ে দিয়ে ছুটছিল বিধায়কের গাড়ি।তখনই আচমকা সামনের গাড়ির ব্রেক কষার ফলে বিধায়কের গাড়ি এসে সোজা ধাক্কা মারে সেই গাড়িতে আর তখনই ঘটে অঘটন। কিন্তু কেন হঠাৎ করে সামনের ওই গাড়িটি ব্রেক কষল? এক্সপ্রেসওয়েতে না ছিল সিগন্যাল, না ছিল জ্যাম তাহলে ফাঁকা রাস্তায় এমন কী প্রয়োজন পড়ল যার জন্য আচমকা চালককে এহেন সিদ্ধান্ত নিতে হল? এই প্রশ্নগুলোই তুলেছেন খোদ বিধায়ক।
এই ঘটনার পর বিধায়ক আতঙ্কিত। তিনি বলছেন, “আমি যে টার্গেটে রয়েছি বুঝতে পারছি। কখনও হামলা চালিয়েছে। যেহেতু আমরা মানুষকে সজাগ করি সেই কারণে কিনা বলতে পারব না। তবে আমি আতঙ্কে আছি। মানসিকভাবে বিপর্যস্ত। আমি যে প্রাণে বেঁচেছি এটাই বড় কথা। ওই জায়গায় কেন দাঁড় করালো গাড়ি।”
তবে নওশাদের এই গাড়ি দুর্ঘটনাকে ততটাও আমল দিতে নারাজ বিধানসভার বিধায়ক বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বললেন, “নওশাদের গাড়ি দুর্ঘটনার ব্যাপারে আমি কিছু জানি না। কিন্তু অ্যাক্সিডেন্টটকে অ্যাক্সিডেন্ট হিসাবে দেখা হোক। সব বিষয়ে ষড়যন্ত্র দেখা উচিত নয়। নওশাদ আমাকে ফোন করতে পারেন, যদি তাঁর মনে হয় ষড়যন্ত্র তাহলে প্রয়োজনীয় বিষয় খতিয়ে দেখব। নওশাদ সিদ্দিকি এত বড় নেতা হয়নি তার জন্য এতগুলো উত্তর দিতে হবে স্পিকারকে।”
এ দিকে, বর্ধমানের বিধায়ক খোকন দাস ছিলেন বিধায়ক নওশাদের গাড়ির পিছনে ছিলেন। তাঁর বক্তব্য,”আমি এবং আলোক মাঝি বিধানসভায় আসছিলাম। কমিটির মিটিং ছিল। হঠাৎ দেখি,ওর গাড়ি সামনে দাঁড়িয়ে থাকা একটি গাড়িতে ধাক্কা মারে। উনি ঠিক আছেন। আমরাই বলি ওঁকে পুলিশের সঙ্গে কথা বলতে। ষড়যন্ত্র কী করে হবে? ওর গাড়িই তো ধাক্কা মেরেছে। আমরা তো নিজেরা দেখলাম।”
আরও পড়ুন – সাময়িক স্বস্তি! ব্যক্তিগত বন্ডে ২২ দিন পরে জেলমুক্ত বিজেপি নেতা জিতেন্দ্র তিওয়ারি…
সোমবারের দুর্ঘটনার পর নওশাদ সিদ্দিকির গাড়ির সামনে অংশ পুরো দুমড়ে-মুচড়ে গিয়েছে। গাড়ির সামনের অংশ দেখলেই স্পষ্ট বোঝা যাবে দুর্ঘটনার ভয়াবহতা ঠিক কতখানি। খোদ বিধায়ক বলছেন, ‘আমার গাড়ির ড্রাইভার দক্ষ। সেই কারণেই প্রাণে বেঁচেছি।’ তবে এ দিনের দুর্ঘটনা পর যথেষ্ট আতঙ্কে রয়েছেন আইএসএফ নেতা।