জামিন পেলেন আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি -সহ ৬৪ জন,ধর্মতলা চত্বরে রাস্তা বন্ধ করে তাণ্ডব চালানোর ঘটনায় বৃহস্পতিবার জামিন পেলেন ইন্ডিয়ান সেক্যুলার ফ্রন্ট (আইএসএফ)-এর বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি। কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশে জামিন পেলেন নওশাদের সঙ্গে গ্রেফতার হওয়া আরও ৬৩ জন। গত ২১ জানুয়ারি ধর্মতলায় আইএসএফের প্রতিষ্ঠা দিবসের কর্মসূচি ঘিরে বিক্ষোভের জেরে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ বাধে আইএসএফ কর্মীদের। পুলিশের হাতে গ্রেফতার হন নওশাদ-সহ আইএসএফের বহু কর্মী-সমর্থক। তার পর থেকে তাঁরা জেলেই ছিলেন। গ্রেফতারির ৪০ দিনের মাথায় তাঁরা জামিন পেলেন।
নওশাদদের গ্রেফতারি নিয়ে প্রথম থেকেই প্রশাসনের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানিয়ে আসছেন আইএসএফ সমর্থকেরা। এই গ্রেফতারি নিয়ে সরব হয়েছিল বামেরাও। গ্রেফতারি প্রসঙ্গে নওশাদও বলেছিলেন, ‘‘যা চলছে, তা হেনস্থা ছাড়া আর কিছুই নয়। তবে এই হেনস্থা করে নওশাদ সিদ্দিকির আইএসএফকে বা বাংলার বঞ্চিত মানুষকে আটকাতে পারবে না।’’ এমনকি, রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে আইএসএফের বিরুদ্ধে চক্রান্ত করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেছিলেন তিনি।
আরও পড়ুন – সম্পত্তি বাজেয়াপ্তের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে মানিক ভট্টাচার্য,
গত ২১ জানুয়ারি ধর্মতলায় আইএসএফের প্রতিষ্ঠা দিবসের কর্মসূচিতে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ বাধে আইএসএফ কর্মীদের। পুলিশের হাতে গ্রেফতার হন নওশাদ-সহ আইএসএফের বহু কর্মী-সমর্থক। গ্রেফতারির পর ধৃতদের মধ্যে নওশাদ-সহ ৬৫ জন আদালতে মামলা করে দাবি করেন যে, তাঁদের জোর করে গ্রেফতার করা হয়েছে। রাস্তা বন্ধ করার অপরাধে ভাঙড়ের বিধায়ক-সহ ৮৮ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং তাঁরা পুলিশ হেফাজতে রয়েছেন জেনে বিস্ময় প্রকাশ করেছিল কলকাতা হাই কোর্টও। গত বুধবার নওশাদদের গ্রেফতারি সংক্রান্ত একটি মামলার শুনানিতে কলকাতা হাই কোর্ট বলে, ‘‘একটি কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে এত জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে?’’ এর পর বুধবারও এই মামলা উচ্চ আদালতে উঠলে ধর্মতলার ঘটনায় নওশাদদের ভূমিকা প্রমাণ করা যাবে কি না তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন বিচারপতি।
(সব খবর, ঠিক খবর, প্রত্যেক মুহূর্তে ফলো করুন Facebook পেজ এবং Youtube )