ধর্ষণ মামলায় ভাঙড়ের বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকির রক্ষাকবচের মেয়াদ বাড়ল , ডোমকল শহর তৃণমূলের সর্বশেষ কমিটি মোট পাঁচ জনের মধ্যে এক জন সাধারণ সম্পাদক অভিযোগকারিণী তরুণী। আগামী সাত দিনের মধ্যে তাঁকে গ্রেফতার করতে পারবে না পুলিশ। শুক্রবার কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court) নওশাদের (Nawshad Siddiqui) বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলার শুনানি ছিল। বিচারপতি জয়মাল্য বাগচির ডিভিশন বেঞ্চ নওশাদের রক্ষাকবচের মেয়াদ বাড়ায়। নওশাদের রক্ষাকবচ ছিল বৃহস্পতিবার পর্যন্ত। এরপর এই মামলা শুনবেন বিচারপতি চিত্তরঞ্জন দাসের ডিভিশন বেঞ্চ।
যদিও তৃণমূলের তরফ থেকে প্রথম থেকেই স্পষ্ট করে দেওয়া হয়, এর সঙ্গে রাজনীতির কোনও যোগ নেই। এটা একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা। আর অন্যদিকে, নওশাদের বক্তব্য ছিল, তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগের সত্যতা ঠিক কতটা, তারই প্রমাণ দিচ্ছে অভিযোগকারিনীর রাজনৈতিক পরিচয়। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে গ্রেফতারির আশঙ্কা করেন নওশাদ। কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন নওশাদ। হাই কোর্টের বিচারপতি চিত্তরঞ্জন দাস এবং বিচারপতি অপূর্ব সিংহ রায়ের ডিভিশন বেঞ্চে এই মামলার শুনানি হয়। এই বেঞ্চ প্রথমে নওশাদকে রক্ষাকবচ দিয়েছিল। এরপর আবারও সেই বেঞ্চেই মামলা ফিরল।
পঞ্চায়েত নির্বাচনের ঠিক তিন দিন আগেই ভাঙড়ের বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকির বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ ওঠে। বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে সহবাসের অভিযোগ দায়ের করেন এক তরুণী। থানায় অভিযোগ করতে অভিযোগকারিনীর আত্মীয়ের সঙ্গে থানায় গিয়েছিলেন সল্টলেক পুরসভার চেয়ারম্যান তথা দলের তরফে ভাঙড়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত তৃণমূল নেতা সব্যসাচী দত্ত। ঘটনাকে রাজনৈতিক শোরগোল পড়ে যায়। যদিও এই ঘটনাকে রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র বলে প্রথমেই ব্যাখ্যা দিয়েছিলেন নওশাদ।
আরও পড়ুন – ‘নাটক করার অভ্যাস ছাড়ুন’, তৃণমূল সাংসদ ডেরেককে বললেন রাজ্যসভার চেয়ারম্যান ধনখড়
এই বিষয়টি আরও জোরাল হয়, যখন পরে প্রকাশ্যে আসে ওই অভিযোগকারিণীর পরিচয়। জানা যায়, ডোমকল শহর তৃণমূলের সর্বশেষ কমিটি মোট পাঁচ জনের মধ্যে এক জন সাধারণ সম্পাদক অভিযোগকারিণী তরুণী।