মন্নতেও কি হতে পারে এনসিবি সার্চ অপারেশন ( operation )? মুম্বাই উপকূলে একটি ক্রুজ জাহাজে অভিযান চালানোর পর শনিবার রাতে বিভাগের পক্ষ থেকে যে রেভ পার্টির বিরুদ্ধে অভিযান চালানো হয়েছিল, তার সঙ্গে এনসিবি কর্মকর্তারা আরিয়ান খানকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিলেন ( operation )। জিজ্ঞাসাবাদের পর স্টার্কিডকে গ্রেপ্তার করা হয়। আরিয়ান খান ছাড়াও মুনমুন ধামেচা এবং আরবাজ মার্চেন্ট নামে আরও দুজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে নারকোটিক ড্রাগস অ্যান্ড সাইকোট্রপিক সাবস্ট্যান্সস (এনডিপিএস) আইনের 8 (সি), ২০ (বি), ২ এবং ৫ ধারায় মামলা করা হয়েছে। গ্রেফতার হওয়া আটজনের মধ্যে প্রত্যেকেই আলাদা আলাদা ভাবে ক্রুজ শিপে এসেছিল। তাই তাদের বাকি সহযোগীরা যারা মাদক সেবন করছিল তারা অভিযানের তথ্য পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়।
আর ও পড়ুন গ্রেফতার হলেন অখিলেশ যাদব, কেন?
এই ঘটনায় এখনও অভিযান চালানো হচ্ছে এবং বড় ধরনের গ্রেপ্তার আশা করা হচ্ছে। আরিয়ান খান এবং আরবাজ মার্চেন্ট (আরিয়ানের কাছের বন্ধু) যেখান থেকে মাদক নিয়ে আসত, এনসিবি সে বিষয়ে তথ্য পেয়েছে। এনসিবি এখন পর্যন্ত ৮ জনকে ক্রুজ থেকে হেফাজতে নিয়েছে। রবিবার, আরিয়ান শুধুমাত্র এনসিবির মেসের খাবার খেয়েছে। তাকে বাইরের কোনো খাবার দেওয়া হয়নি। গ্রেপ্তারকৃত আসামীদের মধ্যে মুনমুন ধামেচা একজন দিল্লির সেরা মডেল যিনি একটি বড় ব্র্যান্ডের মডেলিং করেছিলেন এবং তিনি চরসের নেশা করছিলেন। ইশ্মিত চাড্ডা দিল্লির একজন বড় ব্যবসায়ী। একই সঙ্গে মোহক জয়সওয়ালেরও দিল্লিতে বড় ব্যবসা রয়েছে।
গৌমিত চোপড়া একজন সুপরিচিত হেয়ারস্টাইলিস্ট এবং দিল্লির যোজন বিহারের বাসিন্দা। গৌমিতের মা-ও গতকাল ছেলের সঙ্গে মুম্বই এনসিপি কার্যালয়ে দেখা করেছিলেন। অভিযুক্ত বিক্রান্ত দিল্লির একটি প্রাইভেট কোম্পানিতে প্রোডাক্টিভিটি হেড হিসেবে কাজ করেন। অন্যদিকে, অভিযুক্ত সাজিতা নূপুর দিল্লির ব্যবসায়ী।এনসিবি সূত্রে জানা গেছে, আরিয়ান খান এবং আরবাজ খান এনসিবিকে সঠিক তথ্য দিচ্ছেন না। তারা তাদের থেকে মাদক সরবরাহ করতেন?
সেকথাও তারা সঠিক ভাবে জানাচ্ছেন না। আরবাজ বলছেন যে গোয়ার একজন মাদক সরবরাহকারী তাকে মাদক সরবরাহ করত। মুনমুন জানান, আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাছে একটি পাঁচতারা হোটেলের কাছে একজন মাদক ব্যবসায়ী তাকে কিছু মাদকদ্রব্য দিয়েছিলেন। কিন্তু সঠিক নাম কেউই বলছেন না। দিল্লিতে এনসিবি অভিযান চলছে। একই সঙ্গে মুম্বইয়ে গ্রেফতার হওয়া ব্যক্তিদের বাড়িতেও তল্লাশি অভিযান চলছে। এনসিবি সূত্রে জানা গিয়েছে, গ্রেফতারের প্রক্রিয়ার পর এনডিপিএস আইনে প্রত্যেক প্রেফতার হওয়া ব্যক্তির বাড়ি তল্লাশির ব্যবস্থাও রয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে প্রশ্ন উঠেছে সুপারস্টার শাহরুখ খানের বাসভবন মন্নতেও কি হতে পারে এনসিবি সার্চ অপারেশন? ।