‘মমতার সরকার মেয়েদের সুরক্ষা দিতে ব্যর্থ’, কালিয়াচকের ঘটনায় পুলিশ সুপারের রিপোর্ট তলব NCPCR-এর, কালিয়াগঞ্জের পর এবার মালদার কালিয়াচক (Kaliachak)। কালিয়াচকে এক স্কুলছাত্রীর দেহ উদ্ধারের ঘটনাকে কেন্দ্র করে শোরগোল পড়ে যায় মঙ্গলবার। পরিবারের তরফে অভিযোগ তোলা হচ্ছে, কিশোরীকে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে। কালিয়াচকের ওই মর্মান্তিক ঘটনার কথা পৌঁছে গিয়েছে জাতীয় শিশু সুরক্ষা কমিশনের (NCPCR) কাছেও। কালিয়াচকের ঘটনায় ইতিমধ্যেই মালদা জেলার পুলিশ সুপারকে চিঠি পাঠিয়েছেন জাতীয় শিশু সুরক্ষা কমিশনের চেয়ারপার্সন প্রিয়াঙ্ক কানুনগো। চিঠি পাওয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে অ্যাকশন টেকেন রিপোর্ট এবং ঘটনার সঙ্গে সম্পর্কিত যাবতীয় তথ্য জাতীয় শিশু সুরক্ষা কমিশনের কাছে পাঠানোর জন্য বলেছেন তিনি।
কী হয়েছিল কালিয়াচকে?
এদিন সকালে ওই ছাত্রীর দেহ একটি মাঠের পাশে পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয় মানুষজন। বছর বারো-তেরোর ওই কিশোরীর পরনে ছিল কুর্তি ও প্যান্ট। পুলিশ ওই ছাত্রীর দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করেছে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে শোরগোল পড়ে গিয়েছে এলাকায়। প্রসঙ্গত, জাতীয় শিশু সুরক্ষা কমিশনের তরফে মালদা জেলার পুলিশ সুপারকে যে চিঠি পাঠানো হয়েছে, তাতে স্পষ্ট বলা হয়েছে, কোনওভাবেই যেন ওই বালিকার নাম-পরিচয় প্রকাশ না পায়, সেই বিষয়ে সজাগ থাকার জন্য।
আরও পড়ুন- আল কায়দা যোগ! হুগলির দাদপুর থেকে ধৃত এক,
জানা যাচ্ছে, বিজেপি নেত্রী শ্রীরূপা মিত্র চৌধুরীর অভিযোগের ভিত্তিতেই ওই রিপোর্ট তলব করেছে জাতীয় শিশু অধিকার সুরক্ষা কমিশন। ঘটনার এফআইআর কপি, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট, ওই বালিকার বয়সের সার্টিফিরেট, কীভাবে তার দেহ উদ্ধার করে পুলিশ নিয়ে গিয়েছিল, সেই সংক্রান্ত তথ্য চেয়ে পাঠিয়েছে জাতীয় শিশু সুরক্ষা কমিশন। কালিয়াচকের ঘটনা নিয়ে একটি টুইটও করেছেন জাতীয় শিশু সুরক্ষা কমিশনের চেয়ারপার্সন প্রিয়াঙ্ক কানুনগো। টুইটারে ক্ষোভ উগরে দিয়ে এনপিসিআর চেয়ারপার্সনের দাবি, ‘কালিয়াচকের ঘটনার মৃত বালিকার দেহ পুলিশ অপমানজনকভাবে নিয়ে যাচ্ছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার পশ্চিমবঙ্গের শিশুকন্যাদের সুরক্ষা দিতে ব্যর্থ।’