ঝড়ের বেগে চলছে মেট্রোর কাজ, মেট্রোর কাজের জন্য বাস ও গাড়ির রুট বদল , যান নিয়ন্ত্রণ চিনার পার্ক-টেকনোপলিসে , দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলেছে কবি সুভাষ ও বিমানবন্দর মেট্রো করিডরের কাজ। মেট্রোর কাজের জেরে বদলাতে চলেছে সড়কপথের যান চলাচল। মেট্রোর কাজের জন্য যাতে ট্রাফিকে চাপ না পড়ে তার জন্য শহরের দুটি গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে যান নিয়ন্ত্রণের পরিকল্পনা করেছে পুলিশ। ট্রাফিক সূত্রে খবর, মেট্রোর কাজে যাতে রাস্তায় গাড়ি চলাচলে অসুবিধা না হয় তার জন্য গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চলে যান নিয়ন্ত্রণ করবে পুলিশ।
কড়া চ্যালেঞ্জের মুখে শহরের ট্রাফিক বিভাগ। নিউ টাউন ও সল্টলেক-এর সংযোগস্থলে এই মুহূর্তে সল্টলেক সেক্টর ৫ নবদিগন্ত মেট্রো স্টেশনের কাজ চলছে। নিউ টাউনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ মোড় হল চিনার পার্ক। নিউটাউনের দিক থেকে বিমানবন্দর যেতে হলে গাড়ি থেকে বাস সমস্ত গণপরিবহনকে এই মোড় ধরেই যেতে হয়। চিনার পার্কের চৌমাথা সিগন্যাল মোড়েই শুরু হয়েছে যান নিয়ন্ত্রণ। শুধু বিমানবন্দর নয়, এই চৌমাথা সিগন্যাল দিয়ে চলে বিশ্ব বাংলা সরণি ও রাজারহাট-বাগুইআটির জোড়ামন্দির দিকে যাওয়ার গাড়ি বাসও চলাচল করে। কয়েকদিন পরীক্ষামূলক পদ্ধতিতে যান চলাচল পরিচালনার পর রবিবার থেকে যান নিয়ন্ত্রণ শুরু করেছে ট্রাফিক পুলিশ। কোথায়, কীভাবে কোন রাস্তায় গাড়ি ঘোরানো হবে তা ট্রায়াল রানে দেখার পর রবিবার থেকে পাকাপাকি ভাবে সাতদিনের জন্য শুরু যান নিয়ন্ত্রণ।
ট্রাফিক সূত্রে খবর, বাগুইআটি থেকে রাজারহাটগামী গাড়িগুলিকে ঘুরিয়ে দেওয়া হচ্ছে নির্দিষ্ট রুটে। ওই অংশে রাজারহাট-বাগুইআটির জোড়ামন্দির রাস্তায় ৫০ মিটার অংশ বন্ধ রয়েছে। বিশ্ব বাংলা সরণি হয়ে নিউটাউনগামী এবং বিমানবন্দর যাচ্ছে যে গাড়িগুলি সেগুলি সোজাই যাচ্ছে সেখানে কোনও ডাইভারশন নেই। আগামী সাতদিন চিনার পার্ক অঞ্চলে ট্রাফিকের এই ব্যবস্থাই থাকবে বলে জানা গিয়েছে। ফলে ওই এলাকায় যেতে হলে হাতে একটু সময় নিয়ে বেরনো ভালো।
চিনার পার্ক ছাড়াও সল্টলেক সেক্টর ফাইভের টেকনোপলিস মোড়েও নিয়ন্ত্রিত যান চলাচল। বিধাননগর কমিশনারেট জানিয়েছে, আগামী ৬ মাস এই অঞ্চলে যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হবে। নবদিগন্ত মেট্রো স্টেশন তৈরির জন্য রাস্তার একাংশ থাকছে বন্ধ। তাই ট্রাফিকের চাপ সামলাতে বিশেষ ব্যবস্থা। নিউটাউন থেকে সল্টলেক এবং কলকাতাগামী হাজার হাজার গাড়ি রোজ টেকনোপলিস দিয়ে যাতায়াত করে। মেট্রোর কাজে কারণে মেন রোডের প্রায় ২০০ মিটার বন্ধ রয়েছে। নিউটাউন থেকে সল্টলেক যেতে অথবা কলকাতার দিতে যেতে হলে রিং রোড এবং অন্য রাস্তা দিয়ে গাড়ি ঘুরিয়ে দেওয়া হচ্ছে বলে ট্রাফিক সূত্রে খবর। ডাইভারশন বুঝতে যাতে অসুবিধা না হয়, তার জন্য প্রতি মোড়ে মোতায়েন পুলিশ কর্মী। এই ডাইভারশনের ফলে রাস্তায় গাড়ির চাপ কমবে বলে আশা করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন – নন্দীগ্রামের জয়ী বিজেপি প্রার্থীরা গ্রেফতার হতে পারেন, কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিরাপত্তা চেয়ে দ্বারস্থ…
জানা গিয়েছে, শহরের উত্তরের ট্রাফিক সচল রাখতে বিধাননগর কমিশনারেট রাজারহাটের চিনার পার্কে এবং সল্টলেক সেক্টর ফাইভের টেকনোপলিস মোড়ে যান নিয়ন্ত্রণ করবে। আগামী সাতদিন রাজারহাটে চিনার পার্কে যানবাহন চলাচলে নিয়ন্ত্রণ আরোপ করা হবে। ব্যস্ত সময়েও যাতে মসৃণ থাকে গাড়ি চলাচল তার জন্য সাতদিন এই এলাকায় নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে নির্দিষ্ট পথে চলবে গাড়ি, বাস, বাইক ও স্কুটি। আগামী সাতদিন ২৪ ঘণ্টাই লাগু থাকবে যান নিয়ন্ত্রণ। অন্যদিকে, সল্টলেক সেক্টর ফাইভের টেকনোপলিস মোড়ের মত গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চলেও যান নিয়ন্ত্রণের ভাবনা।