বালি ব্রিজের উপর পড়ে থাকা বেওয়ারিশ ব্যাগ-জুতো নিয়ে বাড়ছে রহস্য, ব্রিজের উপর পড়ে আছে সাদা রঙের দুটো জুতো। পাশে রাখা একটি কালো ব্যাগ। এদিন দুপুরে বালি ব্রিজের (Suicide from Bally Bridge) উপর এই ছবি দেখেন পথচলতি মানুষজন। অনেকেই বলতে থাকেন কোনও ব্যক্তি ব্যাগ-জুতো রেখে ঝাঁপ দিয়েছেন গঙ্গায়। যদিও সেই ব্যক্তির নাম পরিচয় কিছুই জানতে পারা যায়নি। এদিকে সাম্প্রতিককালে বালি ব্রিজের উপর থেকে গঙ্গায় ঝাঁপ দিয়ে একাধিক আত্মহত্যার ঘটনা ঘটে। নজরদারি ও প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে উঠতে থাকে প্রশ্ন। এবার ফের এ ধরনের একটি ঘটনার কথা শোনা যাওয়ায় বাড়ছে চাপানউতর।
হাওড়া স্টেশনে মূল ব্রিজের রেলিংয়ের উপরেও কিছুদিন আগে নতুন বেড়া চাপানো হয়েছে। কেউ যাতে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে নীচে না পড়ে যায়, বা কেউ যাতে ব্রিজের উপর সহজে উঠতে না পারে সে কারণেই এই ব্যবস্থা বলে অনেকের ধারনা। কিন্তু, এই ধরনের কোনও নিরাপত্তা ব্যবস্থা বালি ব্রিজের উপর নেই। অন্যদিকে বালি ব্রিজের আশেপাশে থাকা সিসিটিভির সংখ্যা নিয়েও রয়েছে উদ্বেগ। সিসিটিভি নজরদারি বাড়লেও এই ধরনের ঘটনা অনেকটাই আটকানো সম্ভব বলে মত ওয়াকিবহাল মহলের। এমনকী আজ আদৌও কেউ ওই জায়গা থেকে ঝাঁপ দিয়েছে কিনা তাও সহজে জানতে পারা যেত। যদিও শুধু ব্রিজের আশপাশের এলাকা নয়, গঙ্গাতেও এদিনের ঘটনার পর চলছে জোরদার তল্লাশি।
আরও পড়ুন – মালদহে শুভেন্দুর সভায় ‘না’, জেলায় শুরু রাজনৈতিক চাপানউতোর,
খবর পাওয়া মাত্রই ছুটে আসে বালি থানার পুলিশ। সরেজমিনে গোটা এলাকা ঘুরে দেখেন পুলিশ আধিকারিকরা। যদিও কেউ যে ঝাঁপ দিয়েছে সে বিষয়ে এখনও পর্যন্ত নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তবে ওই ব্যাগ ও জুতো কার সেই প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে। এদিন বালি থেকে দক্ষিণেশ্বরের দিকে যাওয়ার রাস্তায় বালি ব্রিজের উপর দুপুর পৌনে তিনটে নাগাদ প্রথম ওই ব্য়াগ-জুতো দেখতে পান পথচলতি মানুষেরা। তারপরই খবর যায় পুলিশে। এদিকে এই বালি ব্রিজ থেকে লাগাতার গঙ্গায় ঝাঁপ দেওয়ার ঘটনা ঘটতে থাকলে কেন বাড়ছে না পুলিশি নজরদারি, কেন আটকানো যাচ্ছে না এ ধরনের ঘটনা সেই প্রশ্ন ফের নতুন করে উঠতে শুরু করেছে।