রামনবমী মামলায় ৬ ঘণ্টা পার করে শিবপুর থেকে বেরোলেন এনআইএ আধিকারিকরা, রামনবমী সংক্রান্ত মামলার তদন্তে পুরোদমে ময়দানে নামল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এনআইএ (NIA)। বৃহস্পতিবার শিবপুরে গিয়েছে তারা। এর আগে তদন্তভার সিআইডির হাতে ছিল। সুপ্রিম-নির্দেশ আসার পর তদন্তে যা কিছু নথি-তথ্য সিআইডি পেয়েছে, তা এনআইএকে হস্তান্তর করা হয়। বৃহস্পতিবার সেই তথ্য হস্তান্তর প্রক্রিয়া শেষ হল বলে জানান সিআইডির এক আধিকারিক। যেখানে অশান্তির ঘটনা ঘটে, সেই এলাকা ঘুরে দেখেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারীরা। এদিন বেলা ১টা নাগাদ শিবপুর থানায় আসেন এনআইএ আধিকারিকরা। ঘড়ির কাঁটা সন্ধ্যা ৭টা পৌঁছনোর পর সেখান থেকে বের হন। সঙ্গে একাধিক জিনিসপত্র। সূত্রের খবর, প্রচুর লাঠি, তলোয়ার, ঠান্ডা পানীয়ের বোতল সংগ্রহ করে নিয়ে যান তাঁরা। রামনবমীর দিন অশান্তির মামলায় কলকাতা হাইকোর্ট এনআইএ তদন্তের নির্দেশ দেয়। ডিভিশন বেঞ্চও সেই রায় বহাল রাখে। এরপরই দেশের শীর্ষ আদালতে যায় রাজ্য। সুপ্রিম কোর্টও হাইকোর্টের রায় বহাল রাখে।
রামনবমীর দিন অশান্তির মামলায় কলকাতা হাইকোর্ট এনআইএ তদন্তের নির্দেশ দেয়। ডিভিশন বেঞ্চও সেই রায় বহাল রাখে। এরপরই দেশের শীর্ষ আদালতে যায় রাজ্য। সুপ্রিম কোর্টও হাইকোর্টের রায় বহাল রাখে। এরপরই গতি বাড়ে। রাজ্য পুলিশের তরফে প্রয়োজনীয় নথি, তথ্য হস্তান্তর শুরু হয়। বৃহস্পতিবার দীর্ঘ ৬ ঘণ্টা সেই নথি, তথ্য় সংগ্রহ করে এনআইএ।
আরও পড়ুন – রামনবমী মামলার সব নথি NIA-কে দিল রাজ্য
ওই সিআইডি আধিকারিক বলেন, “কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে আমরা আমরা নথি হস্তান্তর করেছি। ওনারা তদন্তের কাজে এসেছেন। যা যা সিজার লিস্টে আছে সবই দেখেছেন। ফরেন্সিক রিপোর্ট দেখেছেন। ভিডিয়ো ফুটেজ তো আগেই দেওয়া হয়েছে। আমরা সব কিছু দিয়ে দিলাম। ফিজিকালি ভিজিটও করেছেন তদন্তকারীরা। তা আজ থেকেই শুরু হল। আমরা সবরকম সহযোগিতা করছি। এনআইএর তিনজন অফিসার এসেছেন। ডিএসপি, ইন্সপেক্টর পদাধিকারীরা আছেন। ডিএসপি বহেরার নেতৃত্বে ওনারা এসেছেন।”