‘আমাকে এসএসসি যা বলেছে, তাই করেছি’, আদালতে সওয়াল ‘নাইসা’র নীলাদ্রির , ওএমআর দুর্নীতির অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছিল নাইসার প্রাক্তন কর্মী নীলাদ্রি দাস। নিয়োগ দুর্নীতিতে অন্যতম অভিযুক্ত সুবীরেশ ভট্টাচার্যের সঙ্গে তাঁর ঘনিষ্ঠ যোগাযোগের কথাও আগে জানতে পেরেছেন তদন্তকারীরা। শুক্রবার সেই ব্যক্তিকে আদালতে তোলা হলে তিনি দাবি করেন, তিনি সব তথ্য সিবিআই-এর হাতে তুলে দিয়েছেন। তাঁকে কীভাবে অভিযুক্ত বলে চিহ্নিত করা হচ্ছে, সেই প্রশ্নও তুলেছেন তিনি। আলিপুর সিবিআই বিশেষ আদালতে এদিন তাঁর জামিনের আর্জি খারিজ হয়ে গিয়েছে।
নীলাদ্রি দাসের আইনজীবী সঞ্জয় দাশগুপ্ত এদিন আদালতে দাবি করেন, যখন প্রথম চার্জশিট দেওয়া হয়েছিল, তখন নীলাদ্রির নাম ছিল না। পরবর্তী সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিটে অভিযুক্ত হিসেবে যুক্ত করা হয় তাঁর নাম। তাঁর দাবি, নাইসা শুধুমাত্র ওএমআর স্ক্যান ও পরবর্তীতে মূল্যায়নের কাজ করত। কীভাবে সেই সংস্থার কর্মী অবৈধ নিয়োগে অভিযুক্ত হতে পারে, সেই প্রশ্ন তুলেছেন তিনি।
আইনজীবী উল্লেখ করেন, এসএসসি চাকরি দেওয়ার কাজের জন্য নাইসার সাহায্য নেয়। তখন নীলাদ্রি কাজ করতেন নাইসাতে। কেউ যদি কোনও সংস্থা থেকে কাগজ কিনে পরীক্ষার জন্য ব্যাবহার করে, তাহলে কি সেই সংস্থার লোক অভিযুক্ত হয়ে যায়? তিনি আরও উল্লেখ করেন, নাইসা প্রথমে শুধুমাত্র ওএমআর শিট প্রিন্ট করত ও পরে ওএমআর শিট স্ক্যান এবং মূল্যায়নের কাজ করত ।
নীলাদ্রি দাসের আইনজীবী আরও বলেন, আমি চাই, যেটা সত্যি সেটা আদালতে উঠে আসুক। নীলাদ্রি দাসের দাবি, সাক্ষীকে জেলের ভিতরে রাখা হলে তো আর সাক্ষী আসবে না। তাঁর কথায়, আমার স্টেটমেন্টের ওপরে ভিত্তি করে আমাকে অভিযুক্ত করে দিলেন? তাহলে তো আমার স্টেটমেন্টের আর কোনও ভিত্তি থাকল না। তিনি আরও বলেন, আমার যদি টার্গেট থাকত সবার নম্বর আমি চেঞ্জ করে দিতে পারতাম। কিন্তু আমি তো করিনি। আমাকে এসএসসি যা বলেছে আমি তাই করেছি। সব তথ্য আমি সিবিআই-কে দিয়েছি তারপরও আমি জেলে। শুনানি শেষে জামিনের আর্জি খারিজ হয়ে গিয়েছে নীলাদ্রির।
আরও পড়ুন – এখনই চাকরি যাচ্ছে না ৩২ হাজার প্রাথমিক শিক্ষকের, অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ ডিভিশন বেঞ্চের
ওমআরে দুর্নীতি কীভাবে হয়েছে, সেই প্রসঙ্গে উদাহরণ হিসেবে সিবিআই-এর আইনজীবী ডি এন পান্ডে বলেন, একজনের ওমআরে ৭৫ নম্বর আছে। সেটা বদলে কীভাবে ৯৪ হয়ে গেল।