পা ভেঙে গিয়েছিল পুত্রের, হুইলচেয়ার না পেয়ে পুত্রকে স্কুটারে চাপিয়ে হাসপাতালের চার তলায় বাবা

পা ভেঙে গিয়েছিল পুত্রের, হুইলচেয়ার না পেয়ে পুত্রকে স্কুটারে চাপিয়ে হাসপাতালের চার তলায় বাবা

Facebook
Twitter
LinkedIn
Email
WhatsApp
Print
Telegram

পা ভেঙে গিয়েছিল পুত্রের, হুইলচেয়ার না পেয়ে পুত্রকে স্কুটারে চাপিয়ে হাসপাতালের চার তলায় বাবা , হাসপাতালে কখনও স্ট্রেচারের অভাব, তো কখনও শয্যার অভাব। এমন বিস্তর অভিযোগ বিভিন্ন হাসপাতালে হামেশাই শোনা যায়। তেমনই একটি ঘটনা আবারও প্রকাশ্যে এল। স্ট্রেচার বা শয্যা নয়, হুইলচেয়ার না পেয়ে পুত্রকে স্কুটারে চাপিয়ে সোজা হাসপাতালের চার তলায় উঠে গেলেন এক ব্যক্তি। ঘটনাটি রাজস্থানের কোটার একটি হাসপাতালের।

 

 

 

 

এক পুলিশ আধিকারিকের কথায়, “যদি হাসপাতালে রোগী নিয়ে যাওয়ার কোনও ব্যবস্থা না থাকে, তা হলে কি ভগবানের উপর ভরসা করতে হবে? হাসপাতালে কোনও হুইলচেয়ার না পেয়ে এক অসহায় বাবা ছেলেকে স্কুটারে চাপিয়ে চিকিৎসকের কাছে নিয়ে গিয়ে কোনও অপরাধ করেননি।” হাসপাতালে স্ট্রেচার এবং হুইলচেয়ারের অভাবের কথা স্বীকার করে নিয়েছেন কর্তৃপক্ষ। তবে তাঁদের দাবি, ওই ব্যক্তিকে স্কুটার নিয়ে হাসপাতালে ঢোকার অনুমতি দেওয়া হয়নি। যদিও ওই ব্যক্তি পাল্টা দাবি করেছেন যে, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়েই স্কুটার নিয়ে ঢুকেছিলেন।

 

 

 

ওই ব্যক্তির দাবি, পুত্রের পা ভেঙে যাওয়ায় চিকিৎসার জন্য তাকে কোটার একটি হাসপাতালে নিয়ে গিয়েছিলেন। হাসপাতালে পৌঁছে তিনি স্ট্রেচারের খোঁজ করেন। কিন্তু হাতের সামনে কোনও স্ট্রেচার ছিল না তখন। পুত্র যন্ত্রণায় ছটফট করছিল। তাই তাকে দ্রুত চিকিৎসকের কাছে কী ভাবে নিয়ে যাওয়া যায়, তা ভেবেই দিশাহারা হয়ে পড়েছিলেন।

 

 

 

আরও পড়ুন –  সৈকতে স্নান করছিলেন স্বল্পবসনা তরুণীরা, হঠাৎ দেখা মিলল ভাল্লুকের, তারপর কি ঘটলো…

 

 

 

ওই ব্যক্তির আরও দাবি, স্ট্রেচার না পেয়ে হুইলচেয়ারের খোঁজ করেন। কিন্তু একটিও হুইলচেয়ার পাননি। হাসপাতালে চার তলায় অস্থিচিকিৎসা বিভাগ থাকায় আরও সমস্যায় পড়েন ওই ব্যক্তি। আর কোনও উপায় না দেখে একটি স্কুটারের ব্যবস্থা করেন তিনি। আর সেই স্কুটারে পুত্রকে চাপিয়ে লিফ্‌টে করে চার তলায় পৌঁছন। পুত্রের পায়ে প্লাস্টার করিয়ে আবার একই ভাবে হাসপাতালে নীচে নেমে আসেন। এই ঘটনার একটি ভিডিয়ো সমাজমাধ্যমে ভাইরাল হতেই হাসপাতালগুলির পরিকাঠামো নিয়ে সমালোচনা শুরু হয়েছে। অনেকে ওই ব্যক্তির কাজকে সমর্থন করেছেন। এমনকি পুলিশকে এ বিষয়ে হাসপাতালের তরফে অভিযোগ জানানো হয়েছে। তবে ওই ব্যক্তির পাশেই দাঁড়িয়েছে পুলিশ।

RECOMMENDED FOR YOU.....

Scroll to Top