মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির সামনে থেকে সশস্ত্র ধৃত নূর আমিনের পরিচয় নিয়ে চাঞ্চল্যকর দাবি কোর্টে , আপাতত জেল হেফাজতেই থাকতে হবে মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির সামনে থেকে সশস্ত্র ধৃত নূর আমিনকে। বৃহস্পতিবার তাঁকে আদালতে তোলা হলে এই নির্দেশই দেন বিচারক। গত ২১ জুলাই কালীঘাটে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কালীঘাটের বাড়ির সামনে থেকে গ্রেফতার হন নূর। তাঁর কাছ থেকে পিস্তল, ভোজালি, গাঁজা উদ্ধার করে পুলিশ। সঙ্গে আরও বেশ কিছু অস্ত্র পায় পুলিশ। একটি গাড়িতে এসেছিলেন নূর। সেই গাড়িতে আবার পুলিশের স্টিকার সাঁটানো। এদিন সওয়াল জবাব পর্বে প্রথম থেকেই তাঁর আইনজীবী দাবি করেন, নূর মানসিকভাবে অসুস্থ। যদিও সরকারি আইনজীবীর দাবি, নূর আমিন অসুস্থ নন, অসুস্থতার ভান করছেন।
২১ জুলাই গ্রেফতার হওয়ার পর পুলিশি হেফাজতে রাখা হয় নূর আমিনকে। সেখান থেকেই বৃহস্পতিবার আলিপুর আদালতে তোলা হয় তাঁকে। নূরের আইনজীবী বলেন, তাঁর মক্কেল মানসিকভাবে অসুস্থ। চিকিৎসার প্রয়োজন আছে। এরপরই সরকারি আইনজীবী সেই দাবি খণ্ডন করে বলেন,মানসিক অসুস্থতার ভান করছেন তিনি। একসময় জিএসটি দফতরে কাজ করতেন। তাঁর তথ্যের ভিত্তিতে জিএসটি দফতর তল্লাশি চালিয়ে প্রচুর টাকাও উদ্ধার করে।
সরকারি আইনজীবী বলেন, এই কাজের জন্য পারিতোষিক পেয়েছেন নূর আমিন। শংসাপত্রও দেওয়া হয়েছে। দু’পক্ষের সওয়াল জবাব শোনার পর বিচারক ১৭ অগস্ট পর্যন্ত নূর আমিনকে জেল হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন। এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই মেদিনীপুর জেলার কেশপুরের বিশ্বজিৎ রানা নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তিনি নূরকে ভুয়ো আইকার্ড বানিয়ে দিতেন বলে অভিযোগ।
আরও পড়ুন – মানিক ভট্টাচার্যের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জ গঠনের কথা জানিয়েও সিদ্ধান্ত থেকে সরে এল…
এদিন সরকারি আইনজীবী বলেন, জিএসটি দফতরের বিভিন্ন আধিকারিকের সঙ্গে নূর আমিনের যোগাযোগ রয়েছে। জিএসটি দফতরকে প্রচুর তথ্য দিয়েছেন নূর। অর্থাৎ ‘ইনফরমার’ হিসাবে কাজ করেছেন নূর। আর তার জন্য কেন্দ্রীয় সংস্থার তরফে ১৮ লক্ষ টাকা পুরস্কারও পান বলে দাবি সরকারি আইনজীবীর।