পুরীর মন্দিরে সেবায়ত ৩ শিশু, তাদের বার্ষিক আয় লক্ষাধিক,কিন্তু কিভাবে ? বয়স সবেমাত্র ১ বছরের গণ্ডি পেরিয়েছে। আর এই বয়সেই বার্ষিক আয় প্রায় ২ লক্ষ টাকা। শুনতে অবিশ্বাস্য লাগছে! কিন্তু, বাস্তবে এমনই উপার্জন করে দেখিয়েছে পুরীর (Puri) ছোট্ট একাংশু। সে অবশ্য একা নয়, ১০ মাস বয়সি বালাদেব এবং তাদের আরেক সঙ্গী এই ছোট্ট বয়সেই লক্ষাধিক টাকা উপার্জনের যোগ্যতা অর্জন করেছে। কীভাবে? পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের (Jagannath Temple) সেবায়েত হিসাবেই এই তিন দুধের শিশু লক্ষাধিক টাকা উপার্জন করছে। কেননা তাদের ছাড়া যে জগন্নাথদেবের সেবা-ই অসম্পূর্ণ থাকবে। রথযাত্রা উৎসবের আগে প্রধান ভূমিকা পালন করে এই তিন ছোট্ট শিশু।
৩ শিশু কীভাবে জগন্নাথদেবের সেবায়েত ও রথযাত্রা উৎসবের প্রধান পরিচালক?
রথযাত্রার আগে ১৫ দিন জগন্নাথদেব, বলভদ্র এবং সুভদ্রার জ্বর আসে।সেই সময় তাঁরা ‘আনাসারা ঘরা’ (পৃথক কক্ষে)-এ থাকেন এবং সেখানে কারও প্রবেশের অনুমতি নেই।বিশেষ রীতি মেনে কেবল বালসাহেব, একাংশু সহ এই ৩ শিশু সেই কক্ষে প্রবেশ করে এবং ঈশ্বরের সেবায়ত হিসাবে তাদের আবির্ভাব অনুষ্ঠান হয়। অর্থাৎ ওই ১৫ দিনের মধ্যে একদিন তারাই বিগ্রহের সেবা করে।
এই বিশেষ রীতি প্রসঙ্গে প্রবীণ দৈত্যপতি সেবায়েত ও জগন্নাথ মন্দির পরিচালন কমিটির সদস্য দুর্গা দাসমহাপাত্র বলেন, “দৈত্যপতি সেবায়েত পরিবারে কোনও পুরুষ শিশু জন্মগ্রহণ করলে রীতি অনুযায়ী সে আনসারা সময়কালে(রথযাত্রার আগের ১৫ দিন)যে কোনও একদিন বিগ্রহের সেবায়েত হিসাবে নিযুক্ত হয়।”রথযাত্রার আগে এটা একটি বিশেষ রীতিতিনি আরও বলেন, “শিশুটির বয়স ২১ দিন হলেই সে বিগ্রহদের আনসারা রীতিতে অংশগ্রহণ করতে পারবে এবং আবির্ভাব উৎসবের যোগ্য হিসাবে বিবেচিত হয়।” তবে ছোট্ট বয়সে আবির্ভাব উৎসবে অন্তর্ভুক্ত করা হলেও ১৮ বছর বয়সের পরই সে মন্দিরের সেবায়তের কাজ করতে পারবে।
আরও পড়ুন- ‘সিপিএমের সঙ্গে ঘর করে আমাদের সাহায্য চাইবেন না’! কংগ্রেসকে বার্তা মমতার
জগন্নাথ মন্দিরের তরফে জানানো হয়েছে,চিরাচরিত ঐতিহ্য অনুসারে, রথযাত্রার প্রধান সেবায়ত ক্যাটেগরি,‘দৈত্যপতি নিজোগ’-এর পরিবারের সদস্য ১০ মাস বয়সি বালসাহেব দাসমহাপাত্র,১ বছরের একাংশু দাসমহাপাত্র এবং একাংশুর বয়সি তাদের আরেক সঙ্গীর নাম জগন্নাথ মন্দিরের সেবায়েত হিসাবে বুধবার নথিভুক্ত করা হয়েছে।আর তারই পারিশ্রমিক হিসাবে এদের বার্ষিক আয় ১-২ লক্ষ টাকা।