মাটি কাটার জায়গায় গিয়ে তদন্ত করলেন ভূমি সংস্কার দপ্তরের আধিকারিকরা

মাটি কাটার জায়গায় গিয়ে তদন্ত করলেন ভূমি সংস্কার দপ্তরের আধিকারিকরা

Facebook
Twitter
LinkedIn
Email
WhatsApp
Print
Telegram

মাটি কাটার জায়গায় গিয়ে তদন্ত করলেন ভূমি সংস্কার দপ্তরের আধিকারিকরা। খবরের জেরে অবশেষে নড়েচড়ে বসলো প্রশাসন। মাটি কাটার জায়গায় গিয়ে তদন্ত করলেন ভূমি সংস্কার দপ্তরের আধিকারিকরা। রিপোর্ট দেওয়া হলো জেলা প্রশাসনকে। রিপোর্টের ভিত্তিতে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে জানালেন আধিকারিক। এই ভাবে মাটি কাটতে থাকলে চাষের জমি শেষ হয়ে গেলে মানুষ কি মাটি খাবে প্রশ্ন তুলছে চাষিরা। জমি মাফিয়াদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়ার আর্জি চাষীদের। মালদা জেলার হরিশ্চন্দ্রপুর ২ নম্বর ব্লকের অন্তর্গত ভালুকা বাজারের ঢালাই মোড়ের পাশে অবৈধ ভাবে মাটি কাটার অভিযোগ উঠেছিল। অভিযোগ যেখানে মাটি কাটার নিয়ম রয়েছে ৩ ফিট সেখানে ৮ থেকে ৯ ফিট করে মাটি কাটা হচ্ছিল।

 

স্থানীয় সূত্রের খবর সেই মাটি চলে যাচ্ছিল ইটভাটা গুলিতে। মাটি দিয়ে ইট তৈরি করে স্থানীয় গোবরাঘাট হয়ে নদীপথে ট্রলির পড় ট্রলি চলে যাচ্ছে বিহারে। বিক্রি হচ্ছে চড়া দামে। সেই খবর প্রকাশিত হয় সংবাদমাধ্যমে। এই ভাবে মাটি কাটা চলতে থাকলে চাষবাসের বিশাল ক্ষতি হয়ে যাবে আশঙ্কা প্রকাশ করেন চাষিরা।অবৈধ ভাবে মাটি কাটা রুখতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে ব্লক সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক, ব্লক ভূমি সংস্কার আধিকারিক, এবং থানার আইসি কে নিয়ে গঠন করা হয়েছে ৩ সদস্যের কমিটি। সেই কমিটির অনুমোদন ছাড়া কোথাও মাটি কাটা যাবে না।

 

সেখানে কি ভাবে প্রশাসনের চোখে ধুলো দিয়ে অবৈধ ভাবে মাটি কাটা হচ্ছে প্রশ্ন তুলে বিরোধীরা। যদিও তৃণমূল নেতৃত্ব জানিয়েছিল অবৈধ ভাবে মাটি কাটা হলে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। অবশেষে সেই খবরের জেরেই নড়েচড়ে বসল প্রশাসন। হরিশ্চন্দ্রপুর ২ নম্বর ব্লক ভূমি সংস্কার দফতরের আধিকারিকরা ঢালাই মোড়ে গিয়ে তদন্ত করলেন। তদন্তের ভিত্তিতে রিপোর্ট পেশ করা হয়েছে জেলা প্রশাসনকে। ভূমি সংস্কার দপ্তরের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে বিস্তারিত রিপোর্ট দেখে জেলা প্রশাসন পদক্ষেপ নেবে। যদিও চাষীদের দাবি দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া হোক। না তো এই ভাবে মাটি কাটা চলতে থাকলে শেষ হয়ে যাবে চাষের জমি। জমি শেষ হয়ে গেলে মানুষ কি মাটি খাবে প্রশ্ন চাষীদের।

 

হরিশ্চন্দ্রপুর ২ নম্বর ব্লক ভূমি সংস্কার দপ্তরের রাজস্ব আধিকারিক অহিন মিত্র বলেন, তদন্তের ভিত্তিতে রিপোর্ট পাঠানো হয়েছে জেলা প্রশাসনকে। রিপোর্টে বিস্তারিত সব কিছু লেখা আছে। সরকারি রিপোর্ট ওই ভাবে প্রকাশ্যে বলা যাবে না। রিপোর্ট দেখে প্রশাসন ব্যবস্থা নেবে। তিন সদস্যের প্রশাসনিক কমিটির কাছে সঠিক নথিপত্র দিয়ে অনুমোদন না নিয়ে কেউ মাটি কাটতে পারবে না।

 

স্থানীয় কৃষক অজয় চক্রবর্তী বলেন, প্রশাসনের এই ব্যাপারটি দেখা উচিত এবং পদক্ষেপ নেওয়া উচিত। এই ভাবে মাটি কাটলে চাষের জমি নিচু হয়ে যাবে বর্ষাকালে জল জমে যাবে। চাষবাস মারাত্মক ভাবে ক্ষতি-গ্রস্ত হবে। চাষ না করতে পারলে মানুষ কী মাটি খাবে।

আরোও পড়ুন –  মুখ্যমন্ত্রীর নজরে এবার প্রবীণরা,নতুন সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্যের স্বাস্থ্য দপ্তর

প্রসঙ্গত সমগ্র হরিশ্চন্দ্রপুর এলাকাতেই দীর্ঘদিন ধরে অবৈধ ভাবে মাটি কাটার অভিযোগ উঠেছে। জমি মাফিয়াদের দৌরাত্ম নিয়ে সরব হয়েছে বিরোধীরা। এমনকি শাসকদলের বিধায়ক থেকে শুরু করে মন্ত্রীরা অবৈধ ভাবে মাটি কাটা রুখতে সরব হন। গঠন করা হয় প্রশাসনের ৩ সদস্যের কমিটি। কিন্তু তারপরেও সম্পূর্ণ ভাবে বন্ধ করা যায়নি অবৈধ ভাবে মাটি কাটার কাজ ।স্থানীয়দের দাবি প্রশাসনিক ভাবে কঠোর পদক্ষেপ না নিলে জমি মাফিয়াদের দৌরাত্ম রোখা যাবে না।

RECOMMENDED FOR YOU.....

Scroll to Top