সাত দিনের মধ্যে লিখিত ভাবে ক্ষমা চাইতে হবে রাজ্যপালকে, আইনি পদক্ষেপ করার হুঁশিয়ারি। রাজ্যপাল তথা রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলির আচার্যকে মানহানির নোটিস। চাইতে হবে নিঃশর্ত ক্ষমা। ক্ষমা না চাইলে আইনি পদক্ষেপ করার হুঁশিয়ারি। এই মর্মেই রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ (Governor C V Ananda Bose) বোসকে আইনজীবী মারফত চিঠি পাঠিয়েছেন উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য ওমপ্রকাশ মিশ্র (Om Prakash Mishra)। যা নিয়েই এখন জোর শোরগোল শিক্ষামহলে। উপাচার্য নিয়োগ থেকে একাধিক ইস্যু, বর্তমানে রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাত বারবার খবরের শিরোনামে উঠে এসেছে। অন্যদিকে আচার্য তথা রাজ্যপালের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছেন ওমপ্রকাশ, গৌতম পালের মতো শিক্ষবিদেরা। ওমপ্রকাশের সাফ দাবি ছিল, কয়েকজন উপাচার্যকে রাজ্য়পাল নিজেই উস্কাচ্ছেন। রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিয়োগ নিয়েও প্রকাশ্যেই রাজ্যপালের বিরোধিতা করতে দেখা গিয়েছে তাঁদের। কয়েক দিন আগেই আবার রাজভবনের তরফে নিয়োগ করা ১১ জন উপাচার্যের বিরুদ্ধে সাংবাদিক বৈঠকও করেছিলেন কয়েকজন উপাচার্য। যা নেতৃত্বে ছিলেন ওমপ্রকাশই।
প্রসঙ্গত, উপাচার্য থাকাকালীন উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে জমি সংক্রান্ত ঝামেলায় জড়িয়েছিল ওমপ্রকাশের নাম। যদিও তাঁকে আবার উপাচার্য হিসাবে নিয়োগ করেছিলেন রাজ্যপালই। কিন্তু, তাঁর মেয়াদ শেষের সময় হয়ে এলেও তা আর বাড়াননি রাজ্যপাল তথা আচার্য। এদিকে এরমধ্যে জমি সংক্রান্ত ঝামেলায় আর্থিক তছরুপের অভিযোগ ওঠে ওমপ্রকাশের বিরুদ্ধে। সম্প্রতি উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি বৈঠকেও যোগ দেন রাজ্যপাল। তারপরই ওমপ্রকাশের বিরুদ্ধে তদন্ত কমিটি গঠনের নির্দেশ দিয়েছিলেন রাজ্য়পাল।
আরও পড়ুন – ‘রাজনীতি’র চাপে বিরক্ত হাই কোর্ট! এ বার ক্ষোভ প্রকাশ করলেন প্রধান বিচারপতির,…
আইনজীবী শ্রাবণী বন্দ্যোপাধ্যায়ের মাধ্যমেই রাজ্যপালকে মানহানির নোটিস পাঠিয়েছেন ওমপ্রকাশ। ওই নোটিসেই লেখা, ‘জুলাইয়ের ১ তারিখ আমার ক্লায়েন্টের কাছে একটি ফরওয়ার্ডেড হোয়াটসঅ্যাপ মেসেজ আসে। তাতেই লেখা ছিল আপনি তাঁর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। ওই খবর সোশ্যাল মিডিয়া, প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়াতেও সম্প্রচারিত হয়। এই অপ্রচারের কারণে আমার ক্লায়েন্টের মানহানি হয়েছে। তাই এই চিঠি পাওয়ার সাত দিনের মধ্যে আপনাকে নিঃশর্ত ক্ষমা চাইতে হবে। নইলে আইনি পদক্ষেপ করা হবে।’