আজ চাকরি যেতে পারে ! ছাঁটাইয়ের পাশাপাশি আজ হাইকোর্টে চ্যালেঞ্জ শুনানিও

আজ চাকরি যেতে পারে ! ছাঁটাইয়ের পাশাপাশি আজ হাইকোর্টে চ্যালেঞ্জ শুনানিও

Facebook
Twitter
LinkedIn
Email
WhatsApp
Print
Telegram

আজ চাকরি যেতে পারে ! ছাঁটাইয়ের পাশাপাশি আজ হাইকোর্টে চ্যালেঞ্জ শুনানিও, পাশাপাশি বিচারপতি সুব্রত তালুকদারের ডিভিশন বেঞ্চে গ্রুপ ডি-র চাকরি হারানো কর্মীরা পাল্টা আবেদন জানিয়েছেন। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের অর্ডার কপি এদিন তাঁরা দেখাবেন। গত সপ্তাহে মাত্র দশ মিনিটে কলমের একটি খোঁচায় চাকরি গিয়েছিল গ্রুপ ডি ১৯১১ জনের। এবার সিঁদুরে মেঘ দেখছেন নবম দশমের আরও ৮০৫ জন শিক্ষক। তাঁদের প্রত্যেকেই OMR শিটে কারচুপির তথ্য মিলেছে বলে এসএসসি জানাচ্ছে। তাই তাঁদের সকলেরই চাকরি বাতিলের একটা সম্ভাবনা রয়েছে। সোমবার কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court) বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর বেঞ্চে এই মামলার শুনানি রয়েছে। পাশাপাশি বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের (Justice Abhijit Gangopadhya) নির্দেশে যে সকল গ্রুপ ডি কর্মীর (Group D) চাকরি বাতিল হয়, তাঁরাও ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হন। বিচারপতি সুব্রত তালুকদারের (Justice Subrata Talukdar) বেঞ্চে আবার সেই মামলার শুনানি। সোমবার দুটো মামলার শুনানি। এসএসসি স্পষ্ট করে জানাচ্ছে, নবম দশম শ্রেণির ৮০৫ জনের ওএমআর শিটে কারচুপি রয়েছে। তাঁরা সাদা খাতাই জমা দিয়েছেন বলে এসএসসি-র কাছে তথ্য রয়েছে। তাঁদের নম্বর প্রভাব খাটিয়ে সার্ভারে বাড়ানো হয়েছিল। তাঁরাই ৪৩,৪৪, ৪৫ পেয়ে চাকরিতে নিযুক্ত হয়েছেন। স্কুল সার্ভিস কমিশনের কাছেও এই তথ্য পেশ করেছে গোয়েন্দা সংস্থা।তদন্তকারীরা আদালতেও জানিয়েছেন, কীভাবে তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের আমলে দুর্নীতি হয়েছে। সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে এসএসসি হলফনামা দিয়ে জানিয়েছে, এই ৮০৫ জন শিক্ষকের ক্ষেত্রে গরমিল খুঁজে পাওয়া গিয়েছে। যার মধ্যে ৮০৩ জন শিক্ষক এখন কর্মরত। তাই তাঁদেরকেও সরিয়ে ফেলতে চায় এসএসসি।

 

 

 

আরও পড়ুন – 12GB ইন্টারনেট বিনামূল্যে, প্রেমদিবসে Jio-র ঝুলি ভর্তি অফার

 

পাশাপাশি বিচারপতি সুব্রত তালুকদারের ডিভিশন বেঞ্চে গ্রুপ ডি-র চাকরি হারানো কর্মীরা পাল্টা আবেদন জানিয়েছেন। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের অর্ডার কপি এদিন তাঁরা দেখাবেন। সেটির পুনর্বিবেচনার আবেদন জানাবেন তাঁরা। প্রসঙ্গত, গত সপ্তাহেই বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের কলমের খোঁচার চাকরি গিয়েছে ওএমআর শিটে গরমিল করে নম্বর বাড়িতে চাকরি পাওয়া ১৯১১ জনের। তাঁদের ক্ষেত্রে তদন্তকারীরা গাজিয়াবাদ থেকে ওএমআর শিট এনে আদালতে দেখিয়ে দিয়েছে, কীভাবে কারচুপি হয়েছে। কেবল চাকরিই নয়, এতদিন তাঁরা বেতনবাবদ যে টাকা রাজ্য সরকারের কাছ থেকে পেয়েছেন, তা ফেরত দেওয়ারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি তাঁরা আগামী দিনে কোনও নির্দেশ ছাড়া সরকারি চাকরির পরীক্ষায় বসতে পারবেন না। উল্লেখ্য, এর আগে তাঁরা যখন ডিভিশন বেঞ্চে গিয়েছিলেন, তাঁদের জরুরি মামলা করতে অনুমতি দেওয়া হয়নি। ফলে যাঁদের ওএমআর শিটে গরমিল রয়েছে, তাঁদের চাকরি ছেঁড়ে যোগ্যদের চাকরি দেওয়ার পথে হাঁটছে কমিশনও।

RECOMMENDED FOR YOU.....

Scroll to Top