গুলিবিদ্ধ যুবকের মৃত্যু হাসপাতালে, কোচবিহারের দিনহাটায় ভোটের লাইনে জখম হয়েছিলেন, ভোটের লাইনে দাঁড়িয়ে থাকার সময় গুলিবিদ্ধ হয়েছিলেন। বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হল কোচবিহারের দিনহাটার গিতালদহ এলাকার ভাগ্নি পার্ট-১ বুথের বাসিন্দা চিরঞ্জিৎ কার্জির। চিরঞ্জিতকে দলীয় কর্মী বলে দাবি করেছে বিজেপি। যদিও সেই দাবি খারিজ করে দিয়েছেন চিরঞ্জিতের ঘনিষ্ঠরা।
চিরঞ্জিতকে নিজেদের কর্মী বলে দাবি করেছে বিজেপি। স্থানীয় বিজেপি নেতা জীবেশ বিশ্বাস দাবি করেছেন, ‘‘তিন জনকে গুলি করা হয়েছে। বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী নেই। সেই সুযোগে ছাপ্পা চলছে। সন্ত্রাস চালাচ্ছে তৃণমূল।’’ যদিও, রাহুল বলেন, ‘‘ও বিজেপি করত না। কারা ওকে গুলি করেছে তাও জানি না। কারণ দুষ্কৃতীদের বাইকে কোনও ঝান্ডা ছিল না।’’ প্রসঙ্গত চিরঞ্জিতের সঙ্গে গুলিবিদ্ধ হন রাধিকা বর্মণ নামে এক মহিলাও। তাঁকেও দলীয় কর্মী বলে দাবি করেছে বিজেপি।
বিজেপির অভিযোগ নিয়ে তৃণমূলের মুখপাত্র পার্থপ্রতিম রায় বলেন, ‘‘দিনহাটার বিভিন্ন জায়গায় যেখানে বিজেপি প্রার্থীরা জিততে পারবে না সেখানে আমাদের প্রার্থীদের ওপর আক্রমণ করা হচ্ছে। ব্যালট পেপার ছিঁড়ে, ব্যালট বক্স ভেঙে দেওয়া হচ্ছে। ভাগ্নি পার্ট-১-এর গুলিকাণ্ডের কারণ বিজেপির গোষ্ঠীকোন্দল। তৃণমূলের সঙ্গে এই ঘটনার কোনও সম্পর্ক নেই।’’
আরও পড়ুন – ফের অশান্তির ঘটনা মণিপুরে ,হিংসার বলি ৪
শনিবার গিতালদহ এলাকার ভাগ্নি পার্ট-১ বুথে চলছিল ভোটগ্রহণ। নিজেকে চিরঞ্জিতের ঘনিষ্ঠ হিসাবে দাবি করে রাহুল দেববর্মণ নামে ওই এলাকার এক যুবক দাবি করেন, ‘‘ও ভোট দেওয়ার জন্য লাইনে দাঁড়িয়েছিল। তখন গোটা কুড়ি বাইক আসে। দুষ্কৃতীরা এসেই গুলি ছোড়ে।’’ সেই গুলিতে জখম হন চিরঞ্জিৎ। তাঁর দেহের বাঁ দিকে পেট এবং বুকের মাঝে গুলি লাগে। তাঁকে গুরুতর জখম অবস্থায় তাঁকে প্রথমে নিয়ে যাওয়া হয় দিনহাটা মহকুমা হাসপাতালে। সেখান থেকে স্থানান্তরিত করানো হয় কোচবিহারের একটি বেসরকারি হাসপাতালে। সেখানে মৃত্যু হয় তাঁর। রাহুল বলেন, ‘‘অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে ও মারা গিয়েছে।’’