এবারে গঙ্গাসাগর মেলার অন্যতম আকর্ষণ “বাংলার মন্দির”। শুরু হলে গেল গঙ্গাসাগর মেলা। মঙ্গলবার গঙ্গাসাগর মেলা শুভ উদ্বোধন করলেন সুন্দরবন উন্নয়ন মন্ত্রী বঙ্কিমচন্দ্র হাজরা।
এদিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জেলা শাসক সমিত গুপ্তা, সুন্দরবন পুলিশ জেলার পুলিশ সুপার ভাস্কর মুখোপাধ্যায়,প্রমূখ। এবছর গঙ্গাসাগর মেলাতে রেকর্ড সংখ্যক ভিড় হতে পারে এমনটাই মনে করছে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে। তবে এবারে গঙ্গাসাগর মেলার অন্যতম আকর্ষণ “বাংলার মন্দির”।এদিকে পুণ্যার্থীদের সুবিধার ক্ষেত্রে একাধিক পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে।
বাবুঘাট থেকে গঙ্গাসাগর মন্দির প্রাঙ্গণ মুড়ে ফেলা হয়েছে সিসিটিভি ক্যামেরার মাধ্যমে। মোট ১১০০টি সিসিটিভি ক্যামেরা মাধ্যমে গঙ্গাসাগর মেলায় নজরদারি চালানো হবে। গঙ্গাসাগর মেলা মেলা অফিসে খোলা হয়েছে মেঘা কন্ট্রোল রুম। মেঘা কন্ট্রোল রুমের মাধ্যমে ২৪ ঘন্টা নজরদারি চালাবে পুলিশ প্রশাসনের আধিকারিকেরা। এছাড়াও গঙ্গাসাগর মেলাকে কেন্দ্র করে আকাশপথে ড্রোন ও হেলিকপ্টারের মাধ্যমে চালানো হবে নজরদারি। এবছর মহা কুম্ভ মেলা না থাকার কারণে কয়েক লক্ষ্য উন্নতিদের সমাগম হতে পারে গঙ্গাসাগরে।
উন্নতিদের কোনরকম অসুবিধা যাতে না হয় সেদিকে বিশেষ নজর দিয়েছে জেলা প্রশাসন। অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে থাকছে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী ও রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর প্রতিনিধি দল স্পিডবোটের মাধ্যমে চালানো হবে জলপথে নজরদারি। গঙ্গাসাগর মেলা কে কেন্দ্র করে বিভিন্ন ঘাট গুলিতেও কড়া নিরাপত্তা বলায় মুড়ে ফেলা হয়েছে বিভিন্ন ফেরিঘাট থেকে শুরু করে গঙ্গাসাগর মেলা প্রাঙ্গণ পর্যন্ত মোতায়েন থাকবে রাজ্য পুলিশের উচ্চ পদস্থ আধিকারিকেরা।
দক্ষিণ 24 পরগনা জেলাশাসক সুমিত গুপ্তা বলেন,”গঙ্গাসাগর মেলা কে কেন্দ্র করে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সব রকম প্রস্তুতি নেয়া হয়ে গিয়েছে, গঙ্গাসাগর মেলা কে কেন্দ্র করে গঙ্গাসাগরে তৈরি করা হয়েছে ছয়টি অস্থায়ী হাসপাতাল পাশাপাশি কাকদ্বীপ সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল ও ডায়মন্ডহারবার জেলা হাসপাতালের সুপার ও মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকেরা থাকছে গঙ্গাসাগর মেলাতে, গঙ্গাসাগর মেলাতে থাকছে ১০০ ও বেশি অ্যাম্বুলেন্স। গঙ্গাসাগরের তিনটি অস্থায়ী হেলিপ্যাড তৈরি করা হয়েছে গঙ্গাসাগরে এসে কোন প্রকার অসুস্থ হয়ে গেলে পুণ্যার্থীদের দ্রুত এয়ারলিফটের মাধ্যমে কলকাতায় স্থানান্তর করা হবে। গঙ্গাসাগর মেলাতে পরিবেশবান্ধব মেলা হিসেবে গড়ে তুলতে ইতিমধ্যেই একাধিক পদক্ষেপ নিয়েছে জেলা প্রশাসন।
আরও পড়ুন – বিজেপির গঙ্গা আরতিকে কেন্দ্র করে রণক্ষেত্রের চেহারা নিল বাবুঘাট
সুন্দরবন উন্নয়ন মন্ত্রী মন্ত্রী হাজরা জানান,”এবছর কুম্ভ মেলা না থাকার কারণে প্রচুর মানুষের ভিড় উপছে পড়বে গঙ্গাসাগর মেলাতে, রাজ্য সরকারের তরফ থেকে সমস্ত রকম ব্যবস্থা প্রস্তুত রাখা হয়েছে, গঙ্গাসাগর মেলাতে আন্তর্জাতিক মেলা হিসাবে বিশ্বের মানচিত্রে তুলে ধরতে প্রস্তুত রাজ্য প্রশাসন। পুণ্যতীর্থ গঙ্গাসাগর । পুণ্যার্থীদের জন্য থাকছে ই দর্শন ও ই স্নানের ব্যবস্থা থাকছে ধ্যানকেন্দ্র। করোনা পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে সমস্ত রকম ব্যবস্থা নিয়েছে রাজ্যের স্বাস্থ্য দপ্তরের আধিকারিকেরা।