পেঁয়াজ কাটলেই চোখে জল আসে কেন? পেঁয়াজ কাটলেই চোখ দিয়ে জল ঝরে পড়ে। প্রত্যেকেরই কম-বেশি পেঁয়াজের ঝাঁঝ চোখে গিয়ে জল বেরোবেই। কিন্তু পেঁয়াজ ছাড়া বেশির ভাগ পদের রান্নাই হয় না। তাই ভারতীয় হেঁশেল পেঁয়াজ ছাড়া ভাবাই যায় না। কিন্তু কখনও ভেবে দেখেছেন, কেন বার বার পেঁয়াজ কাটতে গেলেই চোখে জ্বালা করে?
পেঁয়াজে রয়েছে সালফেনিক অ্যাসিড। কাটার পর সেগুলি বেরিয়ে অন্য এনজাইমের সঙ্গে মিশে যায়। তাতেই তৈরি হয় সারফার গ্যাস। সেটাই চোখে গিয়ে চোখ জ্বালা করে জল বেরিয়ে যায়।এই একই কারণে পেঁয়াজ কাটার পরও হাতে পেঁয়াজের গন্ধ লেগে থাকে। তবে রান্না করার সময় এই এনজাইমগুলি আর কাজ করে না। তাই চোখও জ্বালা করে না। কী করলে পেঁয়াজ কাটার সময় এই যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে জানুন।
আরও পড়ুন – প্রধানমন্ত্রীকে আদানি নাম নিয়ে কটাক্ষ করার অভিযোগে অসম পুলিশের হাতে গ্রেফতার হওয়া…
পেঁয়াজ কাটার ১৫ মিনিট আগে ফ্রিজে ঢুকিয়ে রাখুন। ঠান্ডা অবস্থায় এনজাইমগুলি অত কাজ করে না। তাই চোখ জ্বালা করবে না। পেঁয়াজে মুখ কেটে ১৫ থেকে ২০ মিনিট জলে ভিজিয়ে রাখতে পারেন। তা হলে সালফেনিক অ্যাসিড ধুয়ে যাবে। কিন্তু এতে পেঁয়াজের ঝাঁঝ কমে যেতে পারে। তবে ভিজে পেঁয়াজ কাটাও একটু মুশকিল হয়ে যেতে পারে।
খুব ধারালো ছুরি দিয়ে পেঁয়াজ কাটতে পারেন। অবাক লাগলেও এই পদ্ধতি কাজ করে। পেঁয়াজের কোষে কম ক্ষতি করে ধারাল ছুরি। তাই খুব বেশি এনজাইম বার হয় না। পেঁয়াজের মুখে না কি সবচেয়ে বেশি এনজাইম থাকে। তাই প্রথমেই সেগুলি কেটে বাদ দিয়ে দিন। আগুনের সামনে পেঁয়াজ কাটলে জ্বালা কম হয়। কারণ আগুনের সালফার পেঁয়াজের এনজাইমগুলি অকেজো করে দেয়। তাই একটি মোমবাতি জ্বালিয়ে চেষ্টা করে দেখতে পারেন।রান্নাঘরে কোনও ভেন্ট বা চিমনি থাকলে তার নীচে দাঁড়িয়ে পেঁয়াজ কাটতে পারেন। তা হলে সব গ্যাস টেনে নেবে, আপনার চোখে যাবে না। তবে চিমনি ঠিক কোন জায়গায় বসানো রয়েছে, তার উপর নির্ভর করবে এই পদ্ধতি কতটা কার্যকর হবে।