কমিশনে গিয়ে ক্ষোভ উগরে দিলেন শুভেন্দু,কিন্তু কেন ? ভাঙড় থেকে শুরু করে ক্যানিং। মনোনয়ন পর্বের মধ্যেই রাজ্যের নানা প্রান্ত থেকে লাগাতার আসছে হিংসার খবর। বেশিরভাগ জায়গাতেই তৃণমূল (Trinamool Congress) আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে বিরোধীদের মনোনয়নে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। ইতিমধ্যে দলের প্রার্থীদের মনোনয়ন নিশ্চিত করার দাবিতে নবান্নে ছুটেছেন আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকী। যদিও দেখা পাননি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (CM Mamata Banerjee)। এরইমধ্যে এবার নির্বাচন কমিশনে বিজেপি (BJP)।
কমিশনের বিরুদ্ধে একরাশ ক্ষোভ উগরে দিয়ে নন্দীগ্রামের বিধায়ক বলেন, “আমাদের নমিনেশন ফাইল করতে দিতে হবে। যে এলাকায় উনিশ এবং একুশে বিজেপি লিড পেয়েছে সেই এলাকায় প্রার্থী পাওয়া যাবে না এটা হতে পারে না। প্রথমদিন থেকে ইন্দাস, সন্দেশখালি ১, সন্দেশখালি ২, মিনাখাঁ, ভাঙড়, ক্যানিং-সহ গোটা রাজ্যের পঞ্চাশের বেশি ব্লকে লুঠ করছে গুন্ডারা। তাই গণতন্ত্র বাঁচাতে আমাদের লড়াই চলছে। আমরা হাইকোর্টে গিয়েছি ক্ল্যারিফিকেশনের জন্য। এবং আমরা এও বলছি যাঁরা মনোনয়ন জমা দিতে গিয়ে বাধাপ্রাপ্ত হয়েছেন তাঁরা নির্বাচন কমিশনে আসুন। পুলিশ আপনাদের আটকাতে পারবে না। যে লড়তে চায় তাঁকে সুযোগ দিতেই হবে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে লুঠ করতে দিচ্ছি না, লুঠ করতে দেব না। এটা আমাদের চ্যালেঞ্জ, এটা আমরা করে দেখাব।” প্রসঙ্গত, মনোনয়ন জমার দিন বাড়ানোর জন্য ইতিমধ্যেই মামলা হয়েছিল হাইকোর্টে। তবে রাজ্যের শীর্ষ আদালতের কমিশনের বিজ্ঞপ্তিতে কোনও হস্তক্ষেপ করেনি। আর সে কারণেই ১৫ জুনই শেষ হচ্ছে মনোনয়ন জমার প্রক্রিয়া। মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিন ২০ জুন
আরও পড়ুন – ওড়িশায় টাটা স্টিল কারখানায় দুর্ঘটনা! স্টিম পাইপ ফেটে ঝলসে গেলেন ১৮ কর্মী,
কমিশনে গিয়ে মনোনয়ন নিয়ে একরাশ ক্ষোভ উগরে দিলেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। এদিন তিনি ছাড়াও গিয়েছিলেন বিধায়ক হিরণ চট্টোপাধ্যায়, শিশির বাজোরিয়া, রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার-সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ। শুভেন্দুর সাফ দাবি, পঞ্চাশের বেশি ব্লকে লুঠ করছে গুন্ডারা। কিন্তু, সব দেখেও কিছুই করছে না রাজ্য নির্বাচন কমিশন।