লক্ষ্য মোদী সরকারের ‘উৎখাত’, ফের বেঙ্গালুরুতে বৈঠক বিরোধী দলগুলির ,নজরে লোকসভা নির্বাচন! পটনা থেকে ‘ইতিহাসের সূচনা’ হতে চলেছে ,বিরোধীদের তরফে আগের বৈঠকেই পাওয়া গিয়েছিল এই ইঙ্গিত।ফের একবার বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি বৈঠকে বসতে চলেছে বলে জানা গিয়েছে। NCP প্রধান শরদ পওয়ার বলেন,“১৩ এবং ১৪ জুলাই বেঙ্গালুরুতে বিরোধী দলগুলি পরবর্তী বৈঠক করতে চলেছে।” কোন কোন রাজনৈতিক দল এই বৈঠকে উপস্থিত থাকতে, তা এখনও স্পষ্ট নয়।
উল্লেখ্য,সর্বভারতীয় স্তরে রাহুল গান্ধীর সঙ্গে বৈঠকের পরেও রাজ্যে প্রদেশ কংগ্রেসের কণ্ঠে তৃণমূলকে নিয়ে আক্রমণের সুর শোনা গিয়েছে।এরপরেই জোট নিয়ে একাধিক প্রশ্ন উঠতে শুরু করে।বিষয়টি নিয়ে মন্তব্য করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়ও।তিনি বলেছিলেন, “আমরা বৃহত্তর স্বার্থে জোট করছি। আর এখানে BJP-র সঙ্গে কংগ্রেস এবং বামেরা ঘোট পাকাচ্ছে।” রাজনৈতিক ওয়াকিবহাল মহলের একাংশের মতে, কংগ্রেসকে ছাড়া বিরোধীরা জোট করলেও তা অনেকাংশেই ‘অপূর্ণ’ থেকে যাবে।এখন দেখার ২৪-এ মোদী ম্যাজিক ফিকে করতে কী এককাট্টা হবেন বিরোধীরা?উঠছে প্রশ্ন।
উল্লেখ্য,২৪-এর লোকসভা নির্বাচনকে পাখির চোখ করে লড়াইয়ের ময়দানে ঝাঁপাতে চলেছে সমস্ত রাজনৈতিক দলগুলিই। গতকাল রাতেই প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে একটি উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক হয়।সূত্রের খবর,নজরে ছিল লোকসভা সহ পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচন।এদিকে দু’দুবার কুর্সিতে বসার পর কোনওভাবেই যাতে মোদী সরকারের প্রত্যাবর্তন না হয় তা নিশ্চিত করার জন্য মরীয়া বিরোধী দলগুলি।
নীতীশ কুমারের উদ্যোগে পটনাতে সম্প্রতি একটি মেগা বৈঠকের আয়োজন করা হয়েছিল।সেখানে উপস্থিত ছিলেন ১৫টি অ-BJP দল।প্রায় ৩০ জন প্রতিনিধি এই বৈঠকে যোগদান করেন।বিহারের মুখ্যমন্ত্রী এই বৈঠকের পর জানিয়েছিলেন,আগামীদিনে লোকসভায় দলগুলি একসঙ্গে লড়াই করার অঙ্গীকার করেছে। নীতীশ কুমার বলেছিলেন,”আমরা সকলেই আগামীদিনে একজোট হয়ে লড়াই করব।সকলেই মনে করছেন লোকসভায় একসঙ্গে লড়াই করাটাই ঠিক হবে।” তিনি আরও জানিয়েছিলেন, সিমলাতে অনুষ্ঠিত হবে বিরোধীদের একটি মেগা বৈঠক।সেখানে কংগ্রেসের পক্ষ থেকে উপস্থিত থাকবেন সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে জানানো হয়েছিল এমনটাই।
আরও পড়ুন – মোদী মন্ত্রিসভায় বড়সড় রদবদল? সোমবারের বৈঠকেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত মোদীর?
এদিকে সর্বদলীয় বৈঠকে জোটের ভিত তৈরি হয়ে গেলেও আসন সমঝোতা থেকে শুরু করে কী হবে জোটের রূপরেখা সেই বিষয়গুলি আলোচনা হয়নি।সার্বিক প্রেক্ষাপটে দাঁড়িয়ে নতুন করে বিরোধীদের বৈঠকে বসা অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।