পুরসভার ডাম্পিং গ্রাউণ্ডে নোংরা আবর্জনায় অতিষ্ঠ হয়ে উঠছে সাধারণ মানুষের জনজীবন

নিজস্ব সংবাদদাতা ২২ ডিসেম্বর ২০২০ উত্তর দিনাজপুর: শহরের সমস্ত বর্জ্য ও নোংরা আবর্জনার স্তুপ থেকে দুর্গন্ধে প্রান অতিষ্ঠ রায়গঞ্জ পুরসভা এলাকার বন্দর শ্মশান কলোনির বাসিন্দাদের। ছড়াচ্ছে দূষণ, শিশু ও বয়স্কদের দেখা দিচ্ছে নানান রোগের প্রাদুর্ভাব।

পুরসভার এই ডাম্পিং গ্রাউন্ড এলাকার বাসিন্দাদের মাথা ব্যাথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। রায়গঞ্জ পুরসভার ২৬ টি ওয়ার্ডের বিস্তীর্ণ এলাকার যাবতীয় নোংরা আবর্জনা থেকে বর্জ্য পদার্থ ফেলা হয় পুরসভার ২২ নম্বর ওয়ার্ডের বন্দর শ্মশানঘাট সংলগ্ন ডাম্পিং গ্রাউন্ডে। শহরের নালা নর্দমার নোংরা ময়লা থেকে শুরু করে বাড়ি বাড়ি থেকে সংগ্রহ করা বর্জ্য পদার্থ এমনকি পায়খানার সেফটি ট্যাঙ্কের বর্জ্য মলমুত্রও ফেলা হয় এই ডাম্পিং গ্রাউন্ডে। কুলিক নদীবাঁধের রাস্তার একপাশে রয়েছে পুরসভার এই ডাম্পিং গ্রাউন্ড বা ভ্যাট আর অপর পাশে রয়েছে বিশাল কলোনি। সেই কলোনিতে বসবাস করেন কয়েক হাজার বাসিন্দা। এছাড়াও এই নদীবাঁধের রাস্তা দিয়ে চলাচল করে অসংখ্য ছোট যানবাহন থেকে শয়ে শয়ে পথচারী। পুরসভার সাফাইকর্মীদের ফেলে যাওয়া নোংরা আবর্জনা ও বর্জ্য পদার্থের দুর্গন্ধে প্রান অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে বন্দর শ্মশান কলোনির বাসিন্দা থেকে নদীবাঁধের রাস্তার উপর দিয়ে চলাচলকারী সাধারন মানুষের। এলাকায় ক্রমশই ছড়াচ্ছে দূষণ। গবাদি পশু থেকে কুকুর, বিড়াল, কাক মুখে করে নোংরা বর্জ্য পদার্থ এনে ফেলছে এলাকার বাড়িঘরগুলিতে। এরপর প্রতিদিন সন্ধ্যায় সেই ডাম্পিং গ্রাউন্ড বা ভ্যাটের ময়লা আবর্জনায় আগুন দিয়ে পোড়ানোর কারনে এলাকায় ছড়িয়ে পড়ছে বিষাক্ত ধোঁয়া যা নিত্যদিনের সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে এলাকার বাসিন্দাদের। প্রায় সবসময় ঘরের দরজা জানালা বন্ধ করে রাখতে হচ্ছে তাঁদের। এক দমবন্ধ অবস্থার মধ্যে দিন কাটাতে হচ্ছে বন্দর শ্মশান কলোনির বাসিন্দাদের। শুধু এলাকার বাসিন্দাদেরই নয়, এই দুর্ভোগ পোহাতে হয় নদীবাঁধের রাস্তার উপর দিয়ে চলাচলকারী সাধারন মানুষ থেকে ছোট ছোট যানবাহন চালকদেরও। ওই রাস্তা দিয়ে চলাচল করতে গেলে দুর্গ্নধ এড়াতে নাকে মুখে কাপড় দিয়ে চলাফেরা করতে হয় সাধারণ মানুষদের। পাশাপাশি রয়েছে চরম দূষণ। বাড়ছে নানান রোগ। এক অসহনীয় পরিস্থিতির মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন এলাকার বাসিন্দারা। রায়গঞ্জ পুরসভার চেয়ারম্যান সন্দীপ বিশ্বাস জানিয়েছেন, অনেক আগেই বন্দর শ্মশানঘাট এলাকায় পুরসভার ডাম্পিং গ্রাউন্ড তৈরি করা হয়েছে। ওখানে কলোনি বা বস্তি তৈরি হয়েছে পরে। তবুও পুরসভার পক্ষ থেকে পরিবেশ দূষণ রোধের জন্য বস্তিবাসীদের আড়াল করতেই ডাম্পিং গ্রাউন্ড ঘিরে উঁচু পাঁচিল নির্মান করে দেওয়া হয়েছে।

আরও পড়ুন…মহিলাদের সুরক্ষার দাবিতে বিডিও অফিসের সামনে ধর্না