জেলে গিয়ে ইমরান খানকে জেরা গোয়েন্দাদের, তোষাখানা মামলায় বর্তমানে জেলবন্দি পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। এবার জেলের মধ্যেই সাইফার (Cypher) মামলায় ইমরান খানকে জিজ্ঞাসাবাদ করলেন পাকিস্তানের শীর্ষ গোয়েন্দারা। দীর্ঘ কয়েক ঘণ্টা ধরে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন গোয়েন্দারা। কাপ্তান ( (Imran Khan)ও শান্তভাবে গোয়েন্দাদের সমস্ত প্রশ্নের জবাব দেন বলে সূত্রের খবর। কিন্তু, কোনও সাইফার (গোপন খবরের সাংকেতিক রূপ) তিনি দেখাননি বলে দাবি জানান ইমরান।
প্রসঙ্গত, গত বছর প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে তাঁকে পদচ্যুত করার পিছনে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ষড়যন্ত্র রয়েছে বলে অভিযোগে সরব হয়েছিলেন ইমরান খানের। সে ব্যাপারেই একটি নথি তিনি গত বছরের এপ্রিলে প্রকাশ্য জনসভায় দেখিয়ে বলেন, এটা বিদেশি ষড়যন্ত্রের প্রমাণ। সেটা নিয়েই মামলা রুজু হয় ইমরানের বিরুদ্ধে।
গত বছর প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে অপসারিত হওয়ার পর ইমরান খানের বিরুদ্ধে প্রায় ডজন খানেক মামলা রুজু হয়। বর্তমানে তোষাখানা মামলায় ৩ বছরের কারাদণ্ড হয়েছে ইমরানের। যদিও নিম্ন আদালতে জামিনের আবেদন খারিজের রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে ইসলামাবাদ হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন তিনি। সেখানে জামিন মিললেও এবার সাইফার মামলায় এফআইএ ইমরানকে গ্রেফতার করা হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন – বিজেপি সাংসদের বাড়ি থেকে উদ্ধার হল ১০ বছরের এক কিশোরের ঝুলন্ত দেহ
জানা গিয়েছে, এদিন সকালে পাক গোয়েন্দা সংস্থা, ফেডারেল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি (FIA)-র ৬ সদস্যের একটি দল অ্যাটক জেলে গিয়েই সাইফার মামলায় ইমরান খানকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। কয়েক ঘণ্টা ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করেন গোয়েন্দারা। তাঁদের প্রতিটি প্রশ্নের জবাব শান্তভাবেই দেন ইমরান এবং তদন্তে সহযোগিতা করেন বলে সূত্রের খবর। কিন্তু, সাইফার অর্থাৎ যে ডকুমেন্টটি প্রকাশ্য জনসভায় প্রদর্শন করা নিয়ে বিতর্ক, সেটি আদতে সাইফার নয় বলে দাবি জানান ইমরান। তিনি আরও জানান, প্রধানমন্ত্রী হিসাবে যে কোনও ডকুমেন্ট তাঁর নিজের কাছে রাখার অধিকার ছিল। কিন্তু, কেন তিনি সেটা প্রকাশ্য জনসভায় প্রদর্শন করলেন, তার কোনও জবাব দিতে পারেননি ইমরান। গোয়েন্দারা ওই ডকুমেন্টটি চাইলে ইমরানের শান্ত জবাব, সেটি তিনি কোথায় রেখেছেন মনে নেই।